এ ভাবেই প্রচার করছে বিজেপি।
বঙ্গভোটের আগে ‘মোটাভাই’ থেকে ‘মোদী দাদা’ হয়ে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাতি ভাষায় ‘মোটাভাই’ মানে ‘বড়ভাই’। নীলবাড়ির লড়াইয়ে এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কাউকে ঘোষণা করেনি বিজেপি। বরং প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখেই প্রচার চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর নামেই ভোট চাইছেন দলের নেতারা। তাতে এ বার যেন সিলমোহর পড়ল। ‘মোদী দাদাকে ভোট দিন’ বলে শুরু হল প্রচার অভিযান।
বাংলার মানুষের কাছে তো বটেই, জাতীয় রাজনীতিতেও তৃণমূল নেত্রী ‘দিদি’ হিসেবেই পরিচিত। তাতে বাঙালিয়ানার পরশ যেমন রয়েছে, তেমনই দিদি ডাকের মধ্যে রয়েছে ‘ঘরের মেয়ে’কে আপন করে নেওয়ার ভাবনা। একই ভাবে গুজরাতের মানুষের কাছে মোদী এবং অমিত শাহ হলেন ‘মোটাভাই’, বাংলায় তর্জমা করলে যার অর্থ দাঁড়ায় বড় দাদা। সেই নিরিখেই নীলবাড়ির লড়াইকে দিদি বনাম মোদী দাদার লড়াই হিসেবে তুলে ধরছে বিজেপি।
মোদী দাদার জন্য ভোট চেয়ে ইতিমধ্যে পোস্টারও তৈরি করে ফেলেছে বিজেপি। দলের দিল্লির বিধায়ক তথা মুখপাত্র তাজিন্দর পাল সিংহ বাগ্গা ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে সেটি ছড়িয়ে দিয়েছেন। নিজের ছবি সরিয়ে সেটিকে টুইটারের প্রোফাইলেও বসিয়েছেন। বিজেপি সূত্রে খবর, বাংলায় ভোটের ময়দানেও খুব শীঘ্র ওই পোস্টার নিয়ে প্রচার শুরু হবে।
যদিও এর আগে, ভোটের প্রচারে এসে ‘দিদিকে বলো’, ‘দিদির দূত’ নিয়ে লাগাতার তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করেছেন মোদী। বাংলার মানুষ তাঁকে দিদি মেনে নিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন, কিন্তু মমতা শুধুমাত্র এক জনের পিসি হয়ে রয়ে গিয়েছেন বলে রবিবার ব্রিগেডের মাঠেও তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করেন তিনি। তার পরেই ‘মোদী দাদা’র হয়ে ভোট চাইতে দেখা গেল বিজেপি-কে।
এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যদিও নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে, ২৯১ আসনে ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল। পাহাড়ের ৩টি আসন ছেড়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে। তবে প্রার্থী যে-ই হোন না কেন, এই ভোট তাঁর ভোট বলে আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন মমতা, ঠিক যে ভাবে ২০১৬-র নির্বাচনে ‘২৯৪টি কেন্দ্রে আমিই প্রার্থী’ বলে ঘোষণা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তাতে ফলও মিলেছিল হাতেনাতে। তাই ভেবেচিন্তেই মোদীর নামের পাশে বাঙালি ছোঁয়া রাখা হয়েছে।