ফাইল চিত্র।
মনোনয়ন পর্বেই দেখা গিয়েছিল, গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত প্রার্থী-সংখ্যার নিরিখে অনেক জায়গাতেই এগিয়ে আছে বিজেপি। এ বার বঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পরে দেখা যাচ্ছে, গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত বিধায়ক-সংখ্যার নিরিখেও পদ্ম শিবির এগিয়ে আছে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)-এর যৌথ সমীক্ষা বলছে, বঙ্গে বিজেপির ৫১ শতাংশ বিধায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের মামলা রয়েছে। অন্য দিকে, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ৩৪ শতাংশ বিধায়ক গুরুতর অভিযোগে বিদ্ধ। সামগ্রিক ভাবে রাজ্যের ৩৯ শতাংশ বিধায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর মামলা রয়েছে। নিছক পরিসংখ্যানেই সমীক্ষা রিপোর্ট শেষ হচ্ছে না। বিভিন্ন ধরনের গুরুতর অপরাধে অভিযুক্তদের আইনসভায় প্রতিনিধিত্ব করার নীতিগত অধিকার থাকা উচিত কি না, নৈতিকতার সেই প্রশ্নটি ফের উঠছে।
সমীক্ষক সংগঠন দু’টি জানিয়েছে, খুন, ডাকাতি, ধর্ষণ, রাহাজানি ইত্যাদিকেই গুরুতর অপরাধের তালিকায় ফেলা হয়েছে। অভিযু্ক্তদের প্রার্থী করার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলি বিষয়টিকে আমল দিতে রাজি নয় বলেই মনে করছেন সমীক্ষকেরা। সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, সদ্য নির্বাচিত ১০ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রয়েছে। ২০ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে মহিলা সংক্রান্ত অপরাধের গুরুতর অভিযোগ।
ওই সমীক্ষা রিপোর্টে বিধায়কদের আর্থিক দিকটিও তুলে ধরা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে ৫৪ শতাংশ বিধায়কই কোটিপতি। তৃণমূল বিধায়কদের ৬২ শতাংশ কোটিপতি। ৩৩ শতাংশ বিজেপি বিধায়ক কোটিপতি। সম্পদের নিরিখে প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছেন তিন তৃণমূল বিধায়ক জাভেদ আহমেদ খান, বিবেক গুপ্ত ও মনোজ তিওয়ারি। সব মিলিয়ে বিধায়কদের মাথাপিছু সম্পত্তির পরিমাণ দু’কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা।
অন্য দিকে, এ বারের সমীক্ষাতেও দেখা যাচ্ছে, জনপ্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে লিঙ্গসাম্যের অভাব প্রকট। ২০১৬ সালে বিধানসভায় ১৪ শতাংশ মহিলা বিধায়ক ছিলেন। নতুন বিধানসভায় মহিলা প্রতিনিধির হার ১৪ শতাংশ।