উত্তরবঙ্গে প্রচার শুরু করলেন মমতা।
নন্দীগ্রামে ভোটের পরদিনই প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার উত্তরবঙ্গে প্রচার শুরু করলেন মমতা। কোচবিহারের দিনহাটায় প্রথম সভা। বললেন, ‘‘নন্দীগ্রামের মানুষকে অভিনন্দন। নন্দীগ্রামে ভোট দেখে বলতে পারি আপনারা জয়ের দিকে তাকিয়ে থাকুন। দু’দফায় ৬০টি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে ৫০টিতে আমিই জিতছি।’’
শুক্রবার সকাল সওয়া ৯টা নাগাদ নন্দীগ্রাম ছাড়েন তৃণমূলনেত্রী। সেখান থেকে আসেন কলকাতা বিমানবন্দর। তারপর বাগডোগরা হয়ে পৌঁছন দিনহাটায়। এখান থেকে নাটাবাড়িতে জনসভা করে যাবেন আলিপুরদুয়ারে। সেখানেও একটি জনসভা করে ফিরবেন শিলিগুড়ি।
মমতা জনসভায় যা বললেন—
১২.৫৫: টাকা দিতে এলে বলবেন, ‘আগে বিনা পয়সায় গ্যাস দে তারপর ক্যাশ (নগদ টাকা) দিবি : মমতা
১২.৫০: ওরা কোটি কোটি টাকা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কাউকে দেয় না। কেউ মরে গেলে, কারও দরকার হলে দেয় না, ওই টাকা ভোটের সময় খরচ করে। ভোট পাওয়ার জন্য, লোক কেনার জন্য খরচ করে।
১২.৪৫: প্রার্থী উদয়ণ গুহ, পার্থকে ডেকে মমতা বললেন, তোমরা আমাকে নিশ্চিত কর প্রতিবাদ করবে। যদি আগের দিন ওরা তাণ্ডব করে তোমরাও পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়াবে। দেখি কত সিআরপিএফ, বিএসএফ কেন্দ্রীয় বাহিনী তোমাদের গ্রেফতার করে।
১২.৪০: দুর্বল ছেলে মেয়ে চাই না। মনে রাখবেন আমি মরে যাইনি। আমি চুরি পরে ঘরে বসে নেই। দুর্বলদের নিয়ে আমি কাজ করি না। আমি চাই এমন ছেলে মেয়ে যারা বিজেপির, টাকার জোর, গায়ের জোরের সঙ্গে প্রতিবাদ করবে।
১২.৩৭ : ভোটের জন্য চুপ করে আছি। আমি সিআরপিএফ, বিএসএফকে সম্মান করি। কিন্তু ওরা তাণ্ডব করেছে। ওদের আমার অনুরোধ বিজেপির কথায় অত্যাচার করা বন্ধ করুন। নন্দীগ্রামে আমার নেতাদের বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব করেছে। মনে রাখবেন, ওরা যদি তাণ্ডব করবেন। তা হলে আপনারাও জবাব দেবেন প্রতিবাদ করবেন। মারধর নয়। উলুধ্বনি দিয়ে প্রতিবাদ করবেন। আজান দিয়ে প্রতিবাদ করবেন।
১২.৩৫: সব ধর্ম, সব বর্ণ, সব জাতি, সব ভাষার জন্য কাজ করি আমি। উদয়ণকে ভোট দিন। ওর বিরুদ্ধে যে দাঁড়িয়েছে তাকে তো চেনেন আপনারা। ওকে যদি জেতান তাহলে ও কি করবে জানেন তো। গুণ্ডমি করে বেড়াবে।
১২.৩২: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেছেন তো। তিন বছর চলবে ওই কার্ড। তারপর শুধু পুনর্নবীকরণ করাতে হবে। কার্ড চলবে আমাদের সরকারও চলবে। জেনে রাখুন আমি তো জিতবই। কিন্তু সরকার গড়তে হলে এখানকার প্রার্থীদেরও জেতাতে হবে। নম্বর বাড়াতে হবে তো। ২০০-র বেশি ভোট পেতে হবে তো। এখানকার প্রার্থীদের ভোট দিয়ে সেই সুযোগ করে দেবেন আপনারা : মমতা
১২.৩০: আপনাদের জন্য অনেক করেছি। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, দুয়ারে সরকার, বিনাপয়সায় রেশন, বিনামূল্যে চিকিৎসা, তফশিলী বন্ধুদের পেনশন, বিধবাদের ভাতা। তারজন্য তৃণমূলের প্রার্থীদের জেতাতে হবে।
১২.২৭ : পঞ্চানন বর্মার বাড়িটা সংগ্রহশালা করার কথা বলা হয়েছিল। করে দিয়েছি। রাজবংশীরা চেয়েছিলেন, তাঁদের ছেলে মেয়েরা যাতে তাঁদের ভাষায় পড়াশোনা করতে পারে। আমি ২০০ স্কুলে এই ভাষায় পড়াশোনার করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। কামতাপুরী তৈরি হলে ওটাও করে দেব : মমতা
১২.২৫: রাজবংশীদের জন্য ৭০ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং তৈরি করে দিচ্ছি : মমতা
১২.২১ : বুড়িমা-র নাম নিয়ে দিন শুরু করেন আপনারা। সম্প্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ। আপনাদের কুর্ণিশ। আপনাদের জন্য কোচবিহার শহরকেও হেরিটেজ শহর ঘোষণা করেছি, : মমতা
১২.২০ : কোচবিহারে রাজবংশীদের কি না করেছে। তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। রাজবংশী ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল বোর্ড তৈরি হয়েছে। রাজবংশী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি করে দিয়েছি। রাজবংশী ৫০০ জন সঙ্গীতকারকে বাদ্যযন্ত্র দিয়েছি তাদের লোক গানের চর্চার জন্য। কোচবিহারের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল রাজবংশী ভাষাকে স্বীকৃতি দিতে হবে আমি দিয়েছি তো? পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে ছুটি দিয়েছি। আপনাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পঞ্চানন বর্মার নামে বিশ্ববিদ্যালয়, জিতেন্দ্র নারায়ণের নামে মেডিক্যাল কলেজ, নতুন এয়ারপোর্ট, ছিট মহল, জয়ী সেতু। সব করে দিয়েছি। কোনটা করিনি বলুন। এমনকি আপনাদের দাবি ছিল একটা নারায়ণি সেনা তৈরি করার, সেটাও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ থেকে তৈরি করে দিয়েছি। আপনাদের সম্মানের জন্য। যার সদর দফতর কোচবিহারে :মমতা
১২.১৫ : বাংলাদেশে মতুয়াতীর্থে মোদীর যাওয়া নিয়ে তোপ মমতার। বললেন, ‘‘মতুয়াদের কেউ চিনত না। আমি ওঁদের বড় মাকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছি। নিজের টাকায় চিকিৎসা করিয়েছি। নিজের টাকায় ওদের জন্য কাজ করেছি। আমি ওদের বাড়িতে বার বার গিয়েছি। উন্নয়ণ করে দিয়েছি। হরিচাঁদ, গুরচাঁদ ঠাকুরের নামে বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। কলেজ করেছি। ওদের জন্য রাস্তা করে দিয়েছি। রেলস্টেশন করেছি। স্টেডিয়াম করে দিয়েছি ওদের। এখন মোদী বাংলাদেশে গিয়ে বলছেন ভোট দাও। আমি তো ওদের জন্য সব করে দিয়েছি। কই আগে তো ওদের কথা মনে হয়নি মোদীর। বাংলাদেশে তো লোকনাথ বাবারও মন্দির আছে। অনুকূল ঠাকুরের মন্দির আছে। কই মোদী সেখানে তো গেলেন না। মতুয়াদের ওই মন্দিরে আগে কেন যাননি মোদী!