প্রতীকী ছবি।
ভোটারদের মন থেকে আতঙ্ক বা ভয় দূর করতে কিছু পদক্ষেপ আগেই শুরু করেছিল লালবাজার। সেই মতো এলাকায় ‘আতঙ্কিত বা ভীত’ ভোটার রয়েছে কি না, তা খুঁজে
বার করতে থানাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের নাম প্রতিদিন নির্বাচন কমিশনকে পাঠাতেও বলা হয়েছিল। এ বার ওই ভোটারদের নামের তালিকা তৈরি করে তাঁদের ফোন নম্বর-সহ বিস্তারিত তথ্য থানাগুলিকে তৈরি রাখতে নির্দেশ দিল লালবাজার। নির্বাচনের জন্য ভিন্ রাজ্য থেকে আসা পর্যবেক্ষকেরা যে কোনও থানায় গিয়ে চাইলেই যাতে তা দেখানো যেতে পারে, সে জন্যই এই ব্যবস্থা। ‘ভীত’ ভোটারদের ভয় দূর করতে কী কী করা হয়েছে, তা-ও বিস্তারিত ভাবে লিখে রাখতে বলা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশ এলাকায় ভোটের বাকি মাত্র দু’সপ্তাহ। ইতিমধ্যেই ভোট-পর্যবেক্ষকেরা শহরে আসতে শুরু করেছেন। শীঘ্রই তাঁরা পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনী প্রস্তুতির খোঁজ নিতে শুরু করবেন। সেই সময়ে যাতে বাহিনীকে কোনও ভাবে ‘আতঙ্কিত বা ভীত’ ভোটারের তালিকা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে না হয়, তার জন্যই ওই নির্দেশ বলে পুলিশের একটি অংশের মত।
গত মাসেই লালবাজারের তরফে প্রতি থানা এলাকার আট জন করে ‘আতঙ্কিত বা ভীত’ ভোটার খোঁজার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের চিহ্নিত করার পরে থানার স্থানীয় অফিসারদের ফোন নম্বর ‘ভীত ভোটারদের’ দিয়ে রাখতে বলা হয়েছিল, যাতে বিপদের শঙ্কা ভোটারদের মন থেকে মুছে যায়। এ ছাড়াও গত এক মাস ধরে ভয় দূর করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা এবং ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে যাঁরা সন্ত্রাসের শিকার হয়ে ভোট দিতে পারেননি, তাঁরা বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছেন, তা-ও থানাগুলিকে
খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল। তেমন কোনও ভোটারের নাম এ বারের ‘আতঙ্কিত বা ভীত’ ভোটারের তালিকায় থাকলে তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্যও বলা হয়েছিল। অর্থাৎ, বিভিন্ন উপায়ে ওই ভোটারদের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের বিপদের ভয় মুছে ফেলাই ছিল লালবাজারের উদ্দেশ্য।
লালবাজার সূত্রের খবর, প্রথম দফায় কলকাতায় আসা ন’কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী জেলার ভোটের জন্য চলে গেলেও নতুন করে আট কোম্পানি বাহিনী আজ, রবিবার কিংবা সোমবার শহরে চলে আসবে। ওই আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হবে। এর পাশাপাশি, যে সব জায়গায় ইভিএম রাখা রয়েছে, সে সব কেন্দ্রেও তাঁদের মোতায়েন করা হবে।