ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে চলেছেন মহিলা কর্মীরা।
এক বিদায়ী মন্ত্রী, জেলা পরিষদের সভানেত্রী-সহ ৪৬ জন প্রার্থীর ভবিষ্যৎ ইভিএমে বন্দি হতে চলেছে আজ, শনিবার। পূর্ব বর্ধমানের যে আট কেন্দ্রে ভোট হতে চলেছে, তার প্রার্থিতালিকায় রয়েছেন ভোটের কয়েকমাস আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুই বিদায়ী বিধায়কও। ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে শুক্রবারও দফায়-দফায় জেলার পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা বৈঠক করেন। জেলাশাসক তথা নির্বাচক আধিকারিক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বলেন, ‘‘ভোটের জন্যে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
জেলায় এই দফায় ১,৪৮৭টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ২,৮১০টি বুথ রয়েছে। তার মধ্যে ৪৪৪টি বুথ মহিলা পরিচালিত, যা মোট বুথের প্রায় ১৬ শতাংশ। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আগে এত সংখ্যায় মহিলা বুথ দেখা যায়নি। এ বার ২,১৩৬ জন মহিলা-সহ মোট ভোটকর্মী ১৩,৪৮৮ জন। শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে ভোটকর্মীরা কেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে কেন্দ্রগুলিতে চার বার করে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে, জানান প্রশাসনের কর্তারা।
বর্ধমান শহরের মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা ভবন, ইউআইটি, মেমারি কলেজ, মন্তেশ্বরের গৌরমোহন কলেজ, কালনা ২ কৃষক বাজার ও রায়নার শ্যামসুন্দর কলেজে ডিসিআরসি হয়েছে। শুক্রবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ভোটকর্মীদের মুখে মাস্ক থাকলেও দূরত্ব-বিধির বালাই নেই। ভিড় করেই ভোট-সামগ্রী নিতে দেখা গিয়েছে। ভোট-সামগ্রীর সঙ্গে মাস্ক, ‘পিপিই কিট’, স্যানিটাইজ়ার ও থার্মাল গান দেওয়া হচ্ছে। দূরত্ব-বিধি বজায় রাখতে গোল দাগ কাটার জন্য চক দেওয়া হয়েছে। তবে বেশ কিছু জায়গায় অব্যবস্থা ছিল বলে ভোটকর্মীদের একাংশের অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে সামগ্রী নেওয়ার পরেও ব্যাগে সব সামগ্রী ছিল না, বাসে উঠে চালকের দেখা মেলেনি— এমন নানা অভিযোগে কিছু ভোটকর্মী ক্ষোভ জানান। ডিসিআরসি থেকে বারবার চালকদের গাড়িতে থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়।
প্রশাসন জানায়, ভোটে লাইনে দাঁড়ালেই থার্মাল গান দিয়ে পরীক্ষা করা হবে। স্যানিটাইজ়ার দেওয়ার পরে, ভোটারের হাতে একটি দস্তানা দেওয়া হবে। সেটি পরে ইভিএমে বোতাম টিপতে হবে। তার পরে, সেই দস্তানা খুলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এই কাজের জন্য আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আদালত জেলাশাসকদের কোভিড-বিধি মানা হচ্ছে কি না, তা দেখার নির্দেশ দিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক জানান, প্রত্যেক রির্টানিং অফিসারকে হাইকোর্টের নির্দেশের প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে।