বিধান ভবনে এআইসিসি মুখপাত্র জয় বীর শেরগিল। পাশে ভবানীপুরের কংগ্রেস প্রার্থী শাদাব খান। নিজস্ব চিত্র।
বাংলায় তৃণমূলের সরকারকে বিদায় জানানো এবং বিজেপিকে প্রবেশ করতে না দেওয়ার লক্ষ্যে তাঁদের লড়াই চলছে। এই বাস্তবতার নিরিখেই তৃণমূল সম্পর্কে ‘নরম’ মনোভাব নেওয়ার প্রশ্ন নেই বলে এ বার জানিয়ে দিলেন এআইসিসি-র সর্বভারতীয় মুখপাত্র জয়বীর শেরগিল।
বিজেপি যে ভাবে গণতন্ত্রকে ‘ধ্বংস’ করছে, একজোট হয়ে তার মোকাবিলার কথা বলে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী-সহ অ-বিজেপি বিভিন্ন দলের নেতাদের চিঠি পাঠিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় এসে সেই প্রসঙ্গে এআইসিসি নেতা শেরগিল যা বলেছেন, তা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সুরের সঙ্গেই মিলে গিয়েছে।
সনিয়াকে মমতার চিঠি প্রসঙ্গে শুক্রবার বিধান ভবনে শেরগিল বলেন, জাতীয় স্তরে অ-বিজেপি দলগুলির মধ্যে সমন্বয় থাকেই। কিন্তু এ রাজ্যে কংগ্রেস লড়াই করছে তৃণমূলকে ‘ফেয়ারওয়েল’ এবং বিজেপিকে ‘নো-এন্ট্রি বোর্ড’ দেখানোর জন্য। তাই এখানে তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতার কথা নিয়ে তাঁরা ভাবছেন না। শেরগিলের মন্তব্য, ‘‘এক হাতে রাজ্যে কংগ্রেসকে ভাঙব আর অন্য হাতে সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখব, এই দু’টো একসঙ্গে হতে পারে না।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘বাংলায় মোদী এবং দিদির দল মানুষের স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ফুটবল খেলছে। উন্নয়নের দিকে নজর কারও নেই। দু’দল একে অপরকে দোষ দিচ্ছে এবং সব মিলিয়ে ‘টিম বেঙ্গল’ই হারছে।’’ ভবানীপুর ও পানিহাটির দুই কংগ্রেস প্রার্থী শাদাব খান ও তাপস মজুমদারের সমর্থনে এ দিন কর্মসূচিতেও গিয়েছিলেন শেরগিল।
শম্ভুনাথ পন্ডিত স্ট্রিটে গুরুদ্বারে ভবানীপুরের কংগ্রেস প্রার্থী শাদাব খানোর সঙ্গে এআইসিসি মুখপাত্র জয় বীর শেরগিল। নিজস্ব চিত্র।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরবাবু এ দিনই ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী প্রতাপ চন্দ্র মণ্ডলের সমর্থনে সভায় গিয়ে দাবি করেছেন, বিজেপির জন্য জায়গা তৈরি করে দিয়ে এখন আবার বাঁচার জন্য সনিয়ার সাহায্য চাইছে তৃণমূল। অধীরবাবুর বলেছেন, ‘‘দিদির হাত ধরেই বিজেপি এ রাজ্যে ঢুকল। এখন দিদি আর মোদী একে অপরকে সব সময় গালিগালাজ করছেন। এটা বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। আর সেই কারণেই গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের সরকার গড়তে হবে।’’ তাঁর দাবি, বাংলায় বাম ও কংগ্রেস সাম্প্রদায়িক শক্তিকে কখনও মদত দেয়নি। আর তৃণমূল বাম-কংগ্রেসকে মুছে দিয়ে বাংলাকে বিজেপির হাতে তুলে দিতে চাইছে।