প্রতীকী ছবি।
প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরেও প্রচারে তেমন দেখা যায়নি মুরারই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী আসিফ ইকবালকে। শুক্রবার হিয়াতনগর মোড়ে নিজের দোকানেই ব্যবসা করতে দেখা গেল প্রার্থীকে। প্রার্থী অপছন্দ নিয়ে দলেরই মধ্যে বিরোধে এমন অবস্থা মুরারইয়ে।
২০ মার্চ কংগ্রেসের প্রার্থী ঘোষণা হয়। তারপর থেকেই কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়। কংগ্রেস সূত্রেরই খবর, ২৩ মার্চ মুরারই ১ ব্লকের কংগ্রেস কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিল ও কাঁচের দরজা ভাঙচুর করা হয়। কয়েক জনকে মারধর করা হয়। মুরারইয়ের অঞ্চল সভাপতি আলী আহাম্মেদের মাথা ফেটে যায়। হাতেও চোট লাগে। কংগ্রেসের নেতৃত্বদের কার্যালয়ে তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে মুরারই পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
দলের কিছু কর্মী প্রার্থী তালিকা ঘোষণার ছ’দিন পরেও প্রার্থী কেন প্রচারে বেরোচ্ছেন না সেই প্রশ্ন তুলেছেন। যেখানে অন্য দলের প্রার্থীরা জোরকদমে প্রচার শুরু করেছেন। সংযুক্ত মোর্চার সহযোগী দল সিপিএম ও
ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মীরাও দেওয়াল লিখন থেকে প্রচার কিছুই করতে পারছেন না। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য দুকড়ি রাজবংশী ভোট প্রচারে পিছিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, ‘‘মুরারই বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁদের প্রার্থী নিয়ে সমস্যা দু’দিনের মধ্যে সমাধান করে প্রচারের নামার কথা বলা হয়েছে।’’ মুরারইয়ের বাসিন্দা ও রাজ্য যুব প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক মহম্মদ মাসিকুলইসলাম সিবলি বলেন, ‘‘প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের জন্য প্রচার বন্ধ আছে। তবে সাংগঠনিক সব কাজই চলছে। দু’তিন দিনের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে। রাজ্য ও কেন্দ্র নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেই প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে সমস্ত কংগ্রেস কর্মী নামবেন।’’
তবে কংগ্রেসের অন্দরের খবর, মুরারই কেন্দ্র কংগ্রেসের প্রার্থী বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। শোনা যাচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী প্রয়াত মোতাহার হোসেনের ছেলে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোশারফ হোসেনের কথা। মোশারফ এবং জেলা কংগ্রেস সে কথা স্বীকার করেছে। এই বিষয়ে মোশারফবাবু বলেন, ‘‘রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করেছি। কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে মুরারইবাসীর ইচ্ছেপূরণ করার চেষ্টা করব।’’ কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মিল্টন রশিদ বলছেন, ‘‘প্রথমে প্রার্থী হিসেবে মোশারফ হোসেনের নাম ঠিক হয়েছিল। কিন্তু চাকরি সংক্রান্ত ব্যাপারে জটিলতা থাকায় আসিফ
ইকবালের নাম প্রার্থী তালিকায় দেওয়া হয়। প্রার্থী হতে চেয়ে মোশারফ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে আবেদন করেছেন।’’