নিজস্ব চিত্র
প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের জেরে পদ ছাড়লেন গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূলের গাইঘাটা বিধানসভার আহ্বায়ক ধ্যনেশনারায়ণ গুহ এবং জেলা পরিষদের সদস্য সুভাষ রায়। এঁদের দু’জনেরই ক্ষোভ গাইঘাটা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী নরোত্তম বিশ্বাসের মনোনয়ন নিয়ে।
রবিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন ধ্যানেশ। বৈঠক শুরুর আগেই ধ্যানেশের বাড়িতে এসে পৌঁছন গাইঘাটার এ বারের তৃণমূল প্রার্থী নরোত্তম বিশ্বাস। তিনি বলেন, ধ্যানেশ তাঁর গুরু। তাঁকে প্রণাম করতে এসেছেন। কিন্তু ধ্যানেশ তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন। তারপরেও বাড়ির সামনেই অপেক্ষায় ছিলেন গাইঘাটার তৃণমূল প্রার্থী নরোত্তম বিশ্বাস। কিন্তু নাটকের তখনও অনেকটাই বাকি। প্রার্থী নরোত্তমের সামনেই সাংবাদিক বৈঠক শুরু করেন ধ্যানেশ। প্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দুষ্কৃতি ও মুম্বই থেকে সোনা লুঠ করে চলে আসা লোককে প্রার্থী করা হয়েছে।’’ প্রার্থিপদ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দলত্যাগ করেন তিনি। এ ব্যাপারে জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককেও জানিয়েছেন বলে দাবি করেন ধ্যানেশ। এর পরেই ধ্যানেশের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান নরোত্তম।
পরে সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দেন গাইঘাটা ৭ নম্বর জেলা পরিষদের সদস্য সুভাষ রায়। তিনিও বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে দল ছাড়েন। নরোত্তম অবশ্য বলেন, ‘‘আমি দুষ্কৃতি কি না, গাইঘাটার মানুষ বিচার করবেন। আমি প্রণাম করতে এসেছিলাম ধ্যানেশদা কে। আমি তাঁকে দাদা হিসেবে মান্য করি।’’ ধ্যানেশ ও সুভাষ দল ছাড়ার প্রসঙ্গে বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর বলেন, ‘‘এ সব সিদ্ধান্ত যার যার ব্যক্তিগত।’’