রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। নিজস্ব চিত্র।
ভোটের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। তার আগে ফের রাজ্যে এল নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা সহ ৬ সদস্যের একটি দল উত্তরবঙ্গে পৌঁছয়। উত্তরবঙ্গের ৮ জেলার জেলাশাসক এবং এসপিদের সঙ্গে বৈঠকের পর ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন তাঁরা। ৪ দিনের সফর শেষে ২৮ মার্চ দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা তাঁদের।
এ রাজ্যে বিধানসভা ভোট শুরু হচ্ছে ২৭ মার্চ। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সব থেকে বেশি সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এরই মধ্যে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হওয়া থেকে বর্ধমানের রসিকপুরে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা শেষ মুহূর্তে কী ‘দাওয়াই’ দেন, সে দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। ভোট বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, পুলিশ এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে যে অভিযোগগুলি উঠছে, তা খতিয়ে দেখার পর কড়া পদক্ষেপ করতে পারে কমিশনের ফুল বেঞ্চ।
ভোটে হিংসা রুখতে আগেই কড়া বার্তা দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, ফের এক বার রাজ্যের ভোট পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চান তাঁরা। আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্যে ২ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক এবং এক জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কমিশন। তাঁদের সঙ্গেও আলাদা ভাবে বৈঠক করতে পারেন কমিশনার। এ বার প্রতি দফাতেই রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হতে চলেছে। কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফায় ৮০০ বাহিনী থাকতে পারে।