প্রতীকী ছবি।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে আপাতত ঘরবন্দি করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ। ভোট প্রচারের ময়দানে নেমেছেন তাঁর স্ত্রী-পুত্র। আর সম্বল ফেসবুক। তবে তাঁর পরিবারের লোকেদের প্রচারে বেরনো নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
গত মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সভামঞ্চে ওঠার আগে র্যাপিড টেস্টে সংক্রমণ ধরা পড়ে সমর ঘোষের। বিশদ পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা দিয়ে আপাতত বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। বুধ ও বৃহস্পতিবার তাঁর স্ত্রী ও ছেলে মেঘনা, চরমেঘনা, রুকুনপুর, বালিয়াশিশা, কুমরি, শিকারপুরের মতো বেশ কিছু গ্রামে গিয়ে প্রচার চালান। র্যাপিড টেস্টে তাঁদের রিপোর্ট আপাতত নেগেটিভ এসেছে।
প্রার্থীর স্ত্রী কাকলি ঘোষ বলেন, “উনি আগে বিধায়ক (সিপিএমের) ছিলেন। জেলা পরিষদের সদস্য, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছেন। আগে কখনও ওঁর হয়ে ভোটে প্রচার করিনি। কিন্তু এ বার বাধ্য হয়ে প্রচারে নেমেছি। ভোটের আগে বাকি ক’টা দিন পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রচার চালিয়ে যাব।” তাঁর ছেলে সৌরভ বলেন, “প্রচারের শেষ লগ্নে বাবার করোনা ধরা পড়ায় আমরা খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছি। তাই এক দিকে মা বেরিয়েছে, অন্য দিকে আমি বেরিয়ে পড়েছি।”
বৃহস্পতিবারই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন পাশের জেলা মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী। রাজ্য জুড়েই করোনা দ্রুত ছড়াচ্ছে। সেই জায়গায়, বাড়িতে এক জন করোনা রোগী থাকা সত্ত্বেও পরিবারের লোক প্রচারে বেরোচ্ছেন কেন, সেই প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই।
করিমপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায় বলেন, “এক বার র্যাপিড টেস্টে নেগেটিভ এলেও তো পরে যখন-তখন তাঁরা সংক্রমিত হতে পারেন এবং তাঁদের মারফত সংক্রমণ গ্রামে-গ্রামে ছড়িয়ে পড়তে পারে! তার দায়িত্ব কে নেবে?” সমরেন্দ্রনাথের দাবি, “আমি বাড়ির পাশের একটি ঘরে পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে বন্দি হয়ে আছি। বাড়ির সদস্য বা দলের কর্মী কারও সাক্ষাতেই যাচ্ছি না। যত দিন না রিপোর্ট নেগেটিভ হবে, তত দিন এমনটাই থাকব। আমার থেকে কারও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।”