অতিরিক্ত জেলাশাসকের দফতরে বয়ান দেওয়ার প্রতীক্ষায় শীতলখুচির ৪ ভোটকর্মী। নিজস্ব চিত্র।
চতুর্থ দফার ভোটপর্বের সময় কোচবিহারের শীতলখুচি বিধানসভা কেন্দ্রের ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট স্তরের তদন্ত শুরু করলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক রিনা জোশী।
গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ পর্বের ভোটগ্রহণের সময় মাথাভাঙা ব্লকের জোরপাটকায় আমতলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বুথে অশান্তির সময় সিআইএসএফ-এর গুলিতে নিহত হন ওই এলাকার বাসিন্দা মণিরুল মিয়াঁ, হামিদুল মিয়াঁ, ছামিউল মিয়াঁ এবং নুর ইসলাম মিয়াঁ। মঙ্গলবার সেই ঘটনার তদন্তে ১২৬ নম্বর বুথে থাকা ৪ জন ভোটকর্মী এবং একজন আশা কর্মীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। গত ১০ এপ্রিল বুথে ঠিক কী হয়েছিল সেই বিষয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রত্যেকের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে কথা বলেন সেদিনের ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানতে চান রিনা। পাশাপাশি, ওই ৪ ভোটকর্মী এবং একজন আশাকর্মীর লিখিত বয়ানও নেন তিনি। মঙ্গলবার কোচবিহারের জেলাশাসকের দফতরে বয়ান নথিভূক্ত করতে এসেও আতঙ্কের ছাপ ছিল ১২৬ নম্বর বুথের সেকেন্ড পোলিং অফিসার দীপেন্দ্রনাথ রায়ের চোখে মুখে। দীপেন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘সেদিনের ঘটনা কোনও ভাবেই ভোলার নয়। আমরা এখনও আতঙ্কিত। অতিরিক্ত জেলাশাসক আজ আমাদের ডেকেছেন। সেদিন কী হয়েছিল, প্রথমে সেই বিষয়ে জানতে চেয়েছেন তিনি। ওঁকে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানানো হয়। এরপর তিনি সেই বিবরণ লিখিত আকারে চান আমাদের কাছে। ওঁকে লিখিত আকারেও সেই বয়ান দেওয়া হয়েছে।’’
তদন্তের বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা শাসক রিনা বলেন, ‘‘যে কোন গুলি চালানোর ঘটনাতেই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের একটি তদন্ত হয়। জেলাশাসক আমাকে নির্দেশ দিয়েছে তদন্ত করার জন্য। তদন্ত করে সেই রিপোর্ট জেলাশাসকের কাছে জমা দেওয়া হবে।’’