—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের প্রথম দফার ভোটের প্রার্থীদের ২২ শতাংশের বিরুদ্ধেই গুরুতর অপরাধের অভিযোগ আছে। তাঁদের মধ্যে এক জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে ধর্ষণের অভিযোগ। খুনের অভিযোগ আছে আট জনের বিরুদ্ধে। ২৭ মার্চের প্রথম দফার ভোটে ৩০টি আসনে মোট ১৯১ জন প্রার্থীর হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পেশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ ইলেকশন ওয়াচ এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রাইটস (এডিআর)।
ওই দুই সংস্থার সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ১৯১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪২ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এমন ১৯ জন প্রার্থী রয়েছেন, যাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি টাকা বা তার বেশি। আবার এমন তিন জন প্রার্থী আছেন, যাঁরা হলফনামায় সম্পত্তির পরিমাণ শূন্য বলে জানিয়েছেন। সমীক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, এমন সাতটি আসন রয়েছে, যেখানে তিন বা তার বেশি প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। সেই আসনগুলিকে তারা ‘লাল সতর্কতামূলক কেন্দ্র’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
সমীক্ষা-রিপোর্ট জানাচ্ছে, বিজেপির ১১ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে। গুরুতর মামলা আছে সিপিএমের ন’জন এবং তৃণমূলের আট জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে। সমীক্ষকদের বক্তব্য, অভিযুক্ত প্রার্থীদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ নির্দেশ থাকলেও দেখা যাচ্ছে, ২৫ শতাংশ ‘অভিযুক্ত’ প্রার্থী ফের টিকিট পেয়েছেন।
ধনী প্রার্থীদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথম দফার ভোটে তাদের ন’জন প্রার্থী কোটিপতি। বিজেপির কোটিপতি প্রার্থী চার জন। সিপিএম এবং কংগ্রেসের দু’জন করে প্রার্থীর সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি টাকা বা তার বেশি। এসইউসি এবং বিএসপির এক জন করে প্রার্থী কোটিপতি। সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী প্রথম দফায় সব থেকে ধনী প্রার্থী বিজেপির অম্বুজাক্ষ মহান্তি। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে লড়ছেন তিনি। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১০ কোটি টাকার বেশি। ওই কেন্দ্রেরই সিপিআই প্রার্থী সৈকত গিরির সম্পত্তির অর্থমূল্য মাত্র দু’হাজার টাকা। এই দফার যে-সব প্রার্থী যৎসামান্য সম্পত্তির অধিকারী, সৈকতবাবু তাঁদের মধ্যে তৃতীয়।
ধনী প্রার্থীদের মধ্যে অম্বুজাক্ষবাবুর পরেই রয়েছেন কাঁথি (উত্তর) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুমিতা সিংহ (সম্পত্তির পরিমাণ চার কোটি টাকার বেশি এবং খড়্গপুরের তৃণমূল প্রার্থী দীনেন রায়। দীনেনবাবুর সম্পত্তির পরিমাণ তিন কোটি টাকার বেশি। কম সম্পত্তির নিরিখে প্রথম দু’টি জায়গায় আছেন পুরুলিয়ার মানবাজারের এসইউসি প্রার্থী স্বপন মুর্মু এবং এবং ঝাড়গ্রামের বিনপুরে দাঁড়ানো ওই দলেরই প্রার্থী রাজীব মুদি। তাঁদের প্রত্যেকের মোট সম্পদের পরিমাণ ৫০০ টাকা।