দত্তপুকুরে নির্বাচন কমিশনের ভোট-সচেতনতা প্রচার। নিজস্ব চিত্র।
প্রবীণ ভোটাদাতাদের উৎসাহিত করতে এ বার বৃদ্ধাশ্রমের দরজায় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদল। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত এলাকার দত্তপুকুরে একটি বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে আবাসিকদের ভোটদানে উৎসাহিত করেন কমিশনের প্রতিনিধিরা।
বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিক অনেকেই দাবি জানান, তাঁরা কোভিড পরিস্থিতির কারণে বুথে না গিয়ে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে চান। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আশির বেশি বয়সি আবাসিক ভোটারদের জন্য নয়া নির্বাচনী বিধি মেনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে আগাম ভোটদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কিন্তু বৃদ্ধাশ্রমের এমন অনেক আবাসিক রয়েছে যাঁদের বয়স ৮০ পূর্ণ হয়নি। তাঁদের বক্তব্য, করোনা আবহে ভোটদানের ব্যবস্থা বৃদ্ধাশ্রমে করলেই তাঁরা অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন। তাঁদের এই আবেদন খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা। বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিক রীতা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমার বয়স ৭৬। কিন্তু সম্প্রতি চলাফেরায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমি বরাবরই বুথে গিয়ে ভোট দিয়েছি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি এবং শারীরিক অবস্থার কারণে চাই এ বার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক আমাকে।’’
যাঁদের করোনা প্রতিষেধক প্রয়োজন, তাঁদের বারাসত-১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে বলে বারাসাত-১ ব্লকের বিডিও সৌগত পাত্র জানান। তিনি জানিয়েছেন, সব বয়সের ভোটারদের উৎসাহিত করতে উদ্যোগী হয়েছে নির্বাচন কমিশন। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী নতুন ভোটার থেকে শুরু করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, রূপান্তরকামী সকলেই যাতে ভোটদান করতে পারেন, সে দিকে নজর রয়েছে কমিশনের। ভোটদানের বিষয়ে জনগণকে সচেতনতার বার্তা দিতে তাঁরা ধারাবাহিক প্রচার চালাচ্ছেন। সৌগত বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘প্রবীণ নাগরিক-সহ সকলেই তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার জন্য উদ্গ্রীব। আমরা নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণকে ভোটদানে উৎসাহিত করার চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করি, সকলে ভোটদানে অংশগ্রহণ করবেন।’’