বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিক শিপ্রা ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র।
ভোটের আগে প্রচার করতে গিয়ে বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভোটের আগে তাঁদের টিকাকরণ করিয়ে দেবেন। কথা রাখলেন তাঁরা। বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সবার টিকাকরণ হল রবিবার।
নির্বাচনে যাতে সব ধরনের মানুষ অংশ নিতে পারেন, সে ব্যাপারে সচেতনতা গড়তেই নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করছে। কখনও নতুন ভোটারদের কাছে গিয়ে বেলুন উড়িয়ে উৎসাহিত করছেন, তো কখনও ভোট সম্পর্কিত দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে প্রচার করছেন। আবার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের কাছে গিয়েও নির্বাচন কমিশন প্রচার সেরেছে।
প্রথাগতভাবে যাঁরা খুব বেশি ভোট দিতে যান না, তাঁদেরকে ভোটমুখী করার জন্যই কমিশন উদ্যোগ নিয়েছে। বৃদ্ধাশ্রমের এমন অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থাকেন, যাঁদের আর গণতান্ত্রিক ক্ষমতা প্রয়োগে উৎসাহ থাকে না। সেই উৎসাহ ফিরিয়ে আনতেই নির্বাচন কমিশন বারাসতের একটি বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে প্রচার করে। তাতেই টিকার প্রসঙ্গ উঠে আসে। তাঁরা টিকা নিতে চান। তাঁদের প্রতিশ্রুতি দেন আধিকারিকরা।
রবিবার তাঁদের টিকাকরণ হয়েছে। এইভাবে খোঁজখবর নিয়ে তাঁদের টিকাকরণ করিয়ে দেওয়ায় রীতিমতো খুশি বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা। এক আবাসিক শিপ্রা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘যে কোনও বড় কাজ করতে গেলে অনেক সমস্যা আসে। সমস্যার সমাধান করাটাই মূল বিষয়। কমিশন নিজের দায়িত্ব পালন করেছে।
নির্বাচনী আধিকারিক মঞ্জুলা বসু বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সবাইকে যখন নিয়ে আসা হয়, তখন প্রচণ্ড ভিড় ছিল। তারপরেও স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের টিকা দেওয়া হয়েছে । ভোটের সঙ্গে কোভিড সচেতনতাও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।’’