প্রতিটি ভোটই গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়। তাই ভোটদান পর্বের আগে প্রবীণ নাগরিকদের করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করল নির্বাচন কমিশন। শনিবার বারাসতের এক নম্বর ব্লকের কাশিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি বৃদ্ধাশ্রমের আট জন আবাসিক প্রতিষেধক নিলেন নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে।
ভোটদানে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করছে নির্বাচন কমিশন। কখনও নতুন ভোটারদের উৎসাহিত করতে শিক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যাচ্ছেন কমিশনের আধিকারিকেরা। কখনও পৌঁছে যাচ্ছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের কাছেও। সম্প্রতি বারাসত ব্লকের ওই বৃদ্ধাশ্রমেও গিয়েছিলেন কমিশনের আধিকারিকেরা। তখন সেখানকার কয়েক জন বাসিন্দা জানান, তাঁরা ভোটদানে উৎসাহী। কিন্তু বয়স বেশি হওয়ায় সংক্রমণের ভয় পাচ্ছেন। এর পরেই কমিশন ওই প্রবীণ-প্রবীণাদের প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
শনিবার সেই মতো ওই বৃদ্ধাশ্রমের আট জন বাসিন্দাকে প্রতিষেধক দিতে নিয়ে যাওয়া হয় দত্তপুকুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে ভিড় থাকলেও সব ধরনের নিয়ম মেনেই প্রতিষেধক দেওয়া হয় ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের। তাঁদের মধ্যে সুনীলরঞ্জন দে নামে ৯৫ বছরের এক বৃদ্ধও ছিলেন। নির্বাচন কমিশনের তরফে মঞ্জুলা বসু জানান, অনেককে গাড়িতে করেও প্রতিষেধক দিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরও বেশ কিছু বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে প্রতিষেধক দেওয়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। যাতে তাঁরাও ভয় কাটিয়ে ভোটে অংশ নিতে পারেন।
কিন্তু ওই প্রবীণ নাগরিকেরা ভোট দিতে কী ভাবে যাবেন? তাঁরা সবাই তো কাশিমপুরের বাসিন্দা নন। সেই বিষয়টিও বিবেচনায় রাখছে কমিশন। আধিকারিকেরা জানান, কেউ কেউ আয়াদের সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে যেতে উৎসাহী। কমিশনের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রবীণ-প্রবীণারা।