ভোগান্তি: ঘরে জমে নোংরা জল। তা থেকে বাঁচতে ইট পাতছেন বৃদ্ধ রঞ্জিতবাবু। বাঙুরের বি ব্লকে। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
ঘরের ভিতরে জমে রয়েছে নর্দমার নোংরা জল। অবস্থা এমনই যে, ঘরের মধ্যেই মেঝেতে ইট পেতে কোনও রকমে চলাফেরা করতে হয় বাড়ির বাসিন্দাদের। বাঙুরের বি ব্লকের বাসিন্দা, বছর পঁচাত্তরের বৃদ্ধ রঞ্জিত চক্রবর্তীর অভিযোগ, গত পাঁচ মাস ধরে এমন অস্বাস্থ্যকর ভাবেই দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁকে। দলমত নির্বিশেষে পাড়ার রাজনৈতিক দাদাদের এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েও এত দিন কোনও সুরাহা হয়নি।
ভোটের আগে বর্তমানে এলাকার সব ধরনের অসুবিধা দূর করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন রাজনৈতিক নেতারা। অথচ বাঙুরের বি ব্লকের একটি বাড়ির একতলায় ভাড়া থাকা ওই বৃদ্ধের অভিযোগ, ঘরে নর্দমার জমা জলের সমস্যা নিয়ে একাধিক রাজনৈতিক দলের কাছে গেলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। এ নিয়ে চিঠি লিখেছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভাতেও। তাতেও কাজ হয়নি। রঞ্জিতবাবু জানাচ্ছেন, মাস পাঁচেক আগে তাঁদের বাড়ির কাছে নির্মাণকাজ হয়েছিল। তার পর থেকেই এই বাড়িটির সামনের নিকাশি নালা বন্ধ হয়ে যায়। তাঁর কথায়, “আমাদের আশঙ্কা, ওই নির্মাণকাজের ফলে ইট-বালি-সিমেন্টের মিশ্রণ নর্দমার ভিতরে গিয়ে জমেছে, ফলে ওই নালা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই এখন বাড়িতে ব্যবহৃত নোংরা জল ওই নিকাশি নালা দিয়ে মূল নালায় পড়তে না পেরে আবার বাড়িতেই ঢুকে আসছে।”
মাসের পর মাস এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন ওই বৃদ্ধ। এলাকার কয়েক জন বাসিন্দার মতে, আশপাশের অন্যান্য বাড়ির তুলনায় ওই বাড়িটি একটু বেশি নিচু বলে সেখানেই এখন এই সমস্যা হচ্ছে। তবে দ্রুত ওই নিকাশি নালা পরিষ্কার করা না হলে অচিরেই গোটা পাড়া এই সমস্যার মুখোমুখি হবে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
রঞ্জিতবাবু জানান, এই সমস্যা নিয়ে আগেই দক্ষিণ দমদম পুরসভায় চিঠি লিখেছেন তিনি। সেই সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসুকে এ নিয়ে হলফনামা জমা দেবেন বলেও স্থির হয়েছে। পাড়ার বাসিন্দাদের মতে, ওই নর্দমা সাফ করানোর জন্য পুর প্রতিনিধিদের বহু বার বলা সত্ত্বেও কাজ হয়নি। তাই রঞ্জিতবাবুর সাফ কথা, “যে দল ভোট চাইতে আসবে, তাদের সাফ জানিয়ে দেব, আগে ঘরে জমে থাকা নর্দমার জমা জল সরানোর ব্যবস্থা করুন, তার পরে ভোট দেব।”
স্থানীয় বিদায়ী বিধায়ক সুজিতবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘এলাকায় উন্নয়নের নানা কাজ হচ্ছে। কোনও জায়গায় জলের পাইপলাইন বসাতে গিয়ে কোনও অসুবিধা হয়ে থাকতে পারে। দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’’