দক্ষিণ কলকাতার চার কেন্দ্রে ভোটপ্রার্থী (বাঁ-দিক থেকে) সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অবসরপ্রাপ্ত লেফ্টানেন্ট জেনারেল সুব্রত সাহা, ফিরহাদ হাকিম এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই সোমবার রাজ্যের সপ্তম দফার ভোট। সেই তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ কলকাতার চারটি কেন্দ্রে ভোট। যে তালিকায় রয়েছেন তিনজন হাইপ্রোফাইল মন্ত্রী। তাঁরা প্রত্যেকেই ‘দো গজ কি দূরি’ ভোটপ্রক্রিয়ার ওপর নজর রাখতে চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে ভোট সোমবারই। সেই ভবানীপুরে প্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী সরকারের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। যিনি মাস চারেক আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই শোভনদেব এবারের ভোটে প্রার্থী হয়েও বেশকিছুটা সাবধানী। ১৯৯১ সাল থেকে টানা বিধায়ক তিনি। বারুইপুর থেকে রাসবিহারী হয়ে নেত্রীর নির্দেশে ভবানীপুরে প্রার্থী হয়েছেন। এতদিন ভোটের দিন ভোরবেলা বাড়ি থেকে বের হয়ে দিনভোর পোলিং স্টেশন, ক্যাম্প অফিস ও দলীয় পার্টি অফিসে চক্কর কাটতেন বর্ষীয়ান শোভনদেব। কিন্তু ঠিক করেছেন নির্দিষ্ট বাছাই করা বুথেই যাবেন। বাকিটা প্রিয়নাথ মল্লিক রোডের কার্যালয়ে বসে ভোট পরিচালনা করবেন তিনি। শোভনদেবের কথায়, ‘‘যে ভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে আমাদের সবাইকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। তাই ভোটের দিন ভিড় এড়িয়ে চলব। আমি দলের ভোট কর্মীদেরও বলে দিয়েছি অবশ্যই যেন তাঁরা মাস্ক আর স্যানিটাইজারের ব্যবহার করেন।’’
বর্ষীয়ান রাজনীতিক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আবার এবার ভোটে লড়াই করার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ। সেই ভোটেও যথেষ্ট সাবধানী তিনি। সুব্রত বলেছেন, ‘‘এবারও ভোট দেখতে যাব। কিন্তু বুথের খুব কাছে যাব না বলেই ঠিক করেছি। বুথে গিয়ে অযথা ভিড় বাড়িয়ে লাভ নেই। কিছু নির্দিষ্ট বুথে আমি যাব। তারপর নির্দিষ্ট একটি জায়গায় বসেই ভোটের খোঁজখবর রাখব।’’ বিদায়ী সরকারের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম রবিবারও ব্যস্ত রইলেন প্রচারে। শেষ দফায় ভোট উত্তর কলকাতায়। তাই রবিবার উত্তর কলকাতার বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে প্রচার করেছেন তিনি। পরদিন সকালেই তাঁর কেন্দ্র কলকাতা বন্দরে ভোট। ওইদিন সকাল থেকেই কোভিডবিধি মেনেই ভোটের নজরদারিতে বন্দর এলাকা পরিদর্শন করবেন ফিরহাদ। তবে সবার আগে চেতলায় নিজের ভোট দিয়েই যাবেন বন্দরের ভোটে নজরদারি করতে।
দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশীস কুমারের বিরুদ্ধে বিজেপি-র হয়ে লড়াই করছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফ্টানেন্ট জেনারেল সুব্রত সাহা। কোভিডবিধি মেনে ভোটের দিন রাসবিহারী এলাকার বুথে বুথে ঘুরে বেড়াবেন তিনি। ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, কোভিডের কারণে ‘দো গজ কি দূরি’ মেনেই হবে তাঁর ভোটের লড়াই। বালিগঞ্জ কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হয়েছেন সিপিএমের চিকিৎসক নেতা ফুয়াদ হালিম জানিয়েছেন, ভোটে নিজের প্রধান অফিসেই থাকবেন বেশিক্ষণ। কিন্তু বুথে বুথেও যাবেন। অবশ্যই বজায় থাকবে ‘দো গজ কি দূরি’র নিয়ম।