মুখে ঢাকা ছাড়াই প্রচারে দেখা যাচ্ছে নানা দলের প্রার্থীদের। বর্ধমানে। ছবি: উদিত সিংহ
করোনার নতুন ‘স্ট্রেন’ দেখা দিয়েছে রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায়। দেশের অনেক জায়গায় নতুন করে লকডাউনও শুরু হয়েছে। যদিও ভোট-বঙ্গে করোনা পিছনের সারিতেই। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, পূর্ব বর্ধমানে করোনা সংক্রমণের হার খুবই কম। যদিও ভোটের বাজারে যে হারে মাস্ক ছাড়া প্রচার, সভা-জমায়েত চলছে, তাতে নির্বাচন শেষে বা তার আগেই সংক্রমণ ফের ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনও বিকল্প নেই।
গত সাত দিনে জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ন’জন। যদিও সাধারণ ভাবে বাজারে-দোকানে বা মেলা-উৎসবে খুব কম মানুষকেই দেখা যাচ্ছে মাস্ক পরতে। প্রার্থীরাও মাস্ক ছাড়াই ভোটারদের বাড়ি-বাড়ি ঘুরছেন বলে অভিযোগ। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, প্রার্থীরা অনেক জায়গায় ঘুরছেন। সভা-মিছিল করছেন। তাঁদের সাবধানে থাকাটা জরুরি। বিশেষত রাজনৈতিক সভায় দূরত্ববিধি মানা, বারবার হাত ধোয়ার উপরে জোর দিচ্ছেন তাঁরা। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ভ্যাকসিন সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক সন্দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভ্যাকসিন বেরোলেও এখনও আমাদের নিয়মের মধ্যেই থাকতে হবে। ভোট প্রচারে যাওয়া প্রার্থী বা কর্মীরা অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখুন। যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন।’’ তাঁর সতর্কবার্তা, ‘‘এখন নিয়ম না মানলে, ভোটের পরে পরিস্থিতি আবার ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে।’’
নির্বাচন কমিশনও বেশ কিছু করোনা-বিধি বেঁধে দিয়েছে। মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার, ছ’ফুট দূরত্ব মেনে চলা, বাড়িতে প্রচারে পাঁচ জনের বেশি নয়, ভোটগ্রহণ কেন্দ্র জীবাণুমুক্ত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রচারে মাস্ক দেখা যাচ্ছে না বললেই চলে। বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী খোকন দাসের দাবি, ‘‘মাস্ক নিয়ে বেরোচ্ছি। মাঝেমধ্যে হয়তো কথা বলার সময়ে মাস্ক খুলতে হচ্ছে। কর্মীদেরও মেনে চলার কথা বলব।’’ ওই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী পৃথা তায়েরও দাবি, ‘‘কোভিড-বিধি মেনে প্রচার করার চেষ্টা করব।’’ সঙ্গে কোভিডের মোকাবিলা যথাযথ ভাবে হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা না হলেও প্রচার চলছে। বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপির আহ্বায়ক কল্লোল নন্দনের দাবি, ‘‘কমিশনের বিধি মেনে প্রচার করার চেষ্টা করছি। সমস্ত কর্মীদের অনুরোধ করব, তাঁরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মানেন।’’