Dibyendu Adhikari

Bengal Election: দলনেত্রী মমতাকে নয়, করোনা রুখতে রাজ্যপাল ধনখড়কে চিঠি লিখলেন তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, তৃণমূলের সাংসদ হলেও দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সে আর্জি জানাননি শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২১ ০০:১৭
Share:

দিব্যেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।

রাজ্যে করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠি দিলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। সোমবার ধনখড়ের কাছে একটি চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে তাঁর পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, তৃণমূলের সাংসদ হলেও দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সে আর্জি জানাননি শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু। বরং রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের কাছেই দরবার করেছেন তিনি।

Advertisement

সোমবার ধনখড়ের কাছে এক চিঠিতে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দিব্যেন্দু। তিনি লিখেছেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই সর্বশক্তিতে ফিরে এসেছে। শিশু-সহ হাজার হাজার প্রাণও কেড়ে নিতেও তা সক্রিয়। এই আবহে বয়স্কদের জন্য টিকা সরবরাহ করে সংক্রমণ রুখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে মহাকুম্ভমেলা এবং রমজান উপলক্ষে পরিস্থিতি আরও বিগড়োতে পারে। আগামী কয়েক দিনে অতিমারি আরও শোচনীয় আকার নেবে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে আপনার কাছে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানাচ্ছি’।

তৃণমূল সাংসদ হিসাবে রাজ্যপালের কাছে এই আর্জি জানানোয় কোনও বাধা নেই বটে। তবে দলে থেকেও দলনেত্রীর বদলে রাজ্যপালের কাছে এই আর্জি জানানোয় স্বাভাবিক ভাবেই তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

Advertisement

রাজ্যপালকে লেখা চিঠি।

প্রসঙ্গত, দাদা শুভেন্দুর পর একে একে প্রায় গোটা অধিকারী পরিবারের সদস্যরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিলেও মমতার দলেই রয়েছেন দিব্যেন্দু। শুভেন্দু ছাড়াও বাবা শিশির অধিকারী, ভাই সৌম্যেন্দু এমনকি স্ত্রী সুতপাও পা রেখেছেন গেরুয়া শিবিরে। তাঁর দল ছাড়া নিয়ে প্রবল জল্পনা চললেও, এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি দিব্যেন্দু। তাঁর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজে লিপ্ত থাকারও কোনও অভিযোগ ওঠেনি। যদিও নন্দীগ্রামের ভোটের পর যেন খানিকটা ছন্দপতন হয়েছিল।

নীলবাড়ির লড়াইয়ে নন্দীগ্রামে দাদা শুভেন্দুর বনাম দলনেত্রী মমতার ভোটের লড়াই মিটতেই সেখানকার জেলাশাসককে চিঠি লিখেছিলেন দিব্যেন্দু। ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে ভোট মিটতেই ওই এলাকার শান্তি ও সম্প্রীতি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করে জেলাশাসক সুমিতা পাণ্ডেকে একটি চিঠিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। সেই চিঠির পর আবারও ‘চিঠি-অস্ত্র’ দিব্যেন্দুর। এ বার দলনেত্রী তথা রাজ্য সরকারের বদলে রাজ্যপালের কাছে দরবার তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement