সমর্থন: ভিক্টরের হাতে টাকা।
টাকা দিয়ে ভোটার কেনার চেষ্টার অভিযোগ প্রতিবারই কম-বেশি ওঠে। কিছুদিন আগে পরুলিয়ার বলরামপুরে তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো ভোটারদের হাতে টাকা গুঁজে দিচ্ছেন বলে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী সুখময় শতপথী কর্মী সমর্থকদের প্রচারে গিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করতে ভোটের আগের দিন এলে ‘খরচ’ দিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ভিডিও ভাইরাল হতেই বিতর্ক জড়িয়ে পড়েন।
কিন্ত উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে দেখা গেল অন্য ছবি। এখানে প্রার্থী নয়, প্রচারে গিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী আলি ইমরান রমজের(ভিক্টর)হাতে টাকা তুলে ভোটাররাই।
মঙ্গলবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল চাকুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম বিনারগাঁও। এদিন ভিক্টর মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার আগে পাড়ার মানুষদের আশীর্বাদ নিতে যান। আর সেখানে এক ঝাঁক মহিলা ভোটার ভিক্টরের হাতে টাকা গুঁজে দেন। কেউ দিলেন ৫০ টাকা, কেউ দিলেন ১০০টাকা। আর এইভাবে জমা হল ২৫ হাজার টাকা।
বিনারগাঁও গ্রামে বাড়ি ভিক্টরের। ফি বছর মনোয়ন জমা দিতে যাওয়ার আগে গ্রামের আশীর্বাদ নেন। আর সেখানে ভিক্টরের হাতে টাকা তুলে দেন গ্রামের মানুষ। আর যা নিয়ে তৃণমূলের প্রার্থী মিনহাজুল আরফিন আজাদের কটাক্ষ, ‘‘লকডাউনে তো ভিক্টরকে এলাকার গরীব মানুষদের পাশে থাকতে দেখা যায়নি। এখন ভোটের নামে গরীব মানুষদের কাছে টাকা তুলছে ভিক্টর। এটা লজ্জার বিষয়।’’
ওই গ্রামের এক মহিলা আসমাতারা বেগম বলেন, ‘‘ভিক্টরবাবু ভোটে লড়ছেন। তার তো একটা খরচ রয়েছে। তাই আমার সাধ্যমত ৫০০ টাকা দিয়েছি। এটা আশীর্বাদ স্বরূপ। ভিক্টর নিতে না চাইলে জোর করে হাতে গুঁজে দিয়েছি।’’ গ্রামের এক মহিলা হালিমাবিবি বলেন, ‘‘ভিক্টরকে ফের বিধায়ক হিসাবে দেখতে চাই। তাই আশীর্বাদ স্বরূপ ১০০ টাকা দিয়েছি।’’ ভিক্টর বলেন, ‘‘এলাকায় তৃণমূলের সন্ত্রাস, নিরাপত্তার স্বার্থে স্বেচ্ছায় বাসিন্দারা টাকা দিয়েছেন। এতে বিতর্কের কিছু নেই। সবটাই দলের তহবিলে তুলে দেব।’’