মুচিবাজারে রূপা বাগচি। —নিজস্ব চিত্র
এলাকায় করোনা পরিস্থিতি ‘ভয়াবহ’ আকার নিচ্ছে। বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে ভোটের প্রচার পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করলেন মানিকতলা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী রূপা বাগচী। তাঁর সমর্থনে জনসভা, পথসভা, রোড-শো বা মিছিল সবই বন্ধ থাকবে বলে বুধবার জানিয়েছেন রূপা। স্থানীয় পরিস্থিতি বুঝে পাড়ায় পাড়ায় কিছু প্রার্থী পরিক্রমা চলতে পারে। রূপা এ দিন বলেছেন, ‘‘বিমানবন্দর থেকে কলকাতা শহরে ঢুকতে গেলে মানিকতলা বিধানসভা এলাকা হল গেটওয়ে। সেখানে প্রতিদিন করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন বহু মানুষ। চিকিৎসা ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় সংক্রমণ আরও বাড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পারি না। সেটা অপরাধ হবে। তাই জমায়েত হতে পারে, এমন সব ধরনের প্রচার আমরা বন্ধ করে দিচ্ছি।’’ মানিকতলায় ভোট শেষ দফায়, ২৯ এপ্রিল।
নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকেও এ দিন এক হাত নিয়েছেন সিপিএম নেত্রী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রী সকলকে বলছেন ঘরে থাকুন, সাবধানে থাকুন। আর নিজে বারবার বাংলায় চলে আসছেন ভিড় করে ভোটের প্রচার চালাতে। এই রকম সঙ্কটের পরিস্থিতিতে এটা কোনও দায়িত্বশীল সরকারের প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা হতে পারে না!’’ পর্যাপ্ত লোকের অভাবে পুরসভাও পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারছে না বলে তাঁর অভিযোগ। সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমও এ দিন অভিযোগ করেছেন, ওযুধ, অক্সিজেন-সহ চিকিৎসা পরিকাঠামোর উপযুক্ত ব্যবস্থা না করে প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে বলেই দায় সেরেছেন।
সিটু, এআইটিইউসি, আইএনটিইউসি-সহ কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি এ দিন দাবি করেছে, চটকল, চা-বাগান, কয়লা, খনি, পরিবহণ-সহ যে সব ক্ষেত্রে উৎপাদন চলছে, সেখানে কঠোর ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ চালু রাখতে হবে এবং শ্রমিকদের টিকাকরণের ব্যবস্থা সরকার ও কর্তৃপক্ষকে করতে হবে। সর্বজনীন টিকাকরণ ছাড়াও আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য বিনামূল্যে কোভিড চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবিও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে তুলেছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। পাশাপাশিই তাদের দাবি, গত বছরের লকডাউনের সময়ের বকেয়া মজুরি মিটিয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুক কেন্দ্র।