বাঁ দিকে কংগ্রেস প্রার্থী মহম্মদ রেজাউল হক, ডান দিকে সিপিএম প্রার্থী মোদাস্সর হুসেন। নিজস্ব চিত্র।
জোটের অন্যতম কারিগর কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর গড়েই জোট মহা সঙ্কটে। সংযুক্ত মোর্চার দুই প্রার্থী এ বার ভোটের ময়দানে মুখোমুখি। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে সংযুক্ত মোর্চার ২ শরিক সিপিএম ও কংগ্রেস প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে। আর তাতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
সংযুক্ত মোর্চার আসন সমঝোতা অনুযায়ী সামশেরগঞ্জ আসনটি সিপিএমের জন্য বরাদ্দ হয়। গত ১৭ মার্চ সিপিএম মোদাস্সর হুসেনকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। প্রচারও শুরু হয়ে যায়। এর পর হঠাৎ শনিবার রাতে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় সামশেরগঞ্জ আসনে প্রার্থী হিসেবে মহম্মদ রেজাউল হক ওরফে মন্টু বিশ্বাসের নাম ঘোষণা হয়।
মন্টুর নাম ঘোষণা হতেই মুর্শিদাবাদে জোটের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় সামশেরগঞ্জের সিপিএম নেতৃত্ব চরম ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থীকে সুবিধা করে দিতেই কি সামশেরগঞ্জে প্রার্থী দিয়ে কংগ্রেস নেতারা জোট ভাঙার রাস্তায় নামলেন। তাঁদের দাবি, এর প্রভাব জেলার অন্যান্য কেন্দ্রেও জোটের সমীকরণে পড়বে।
২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনেও জোট হয়েছিল সিপিএম ও কংগ্রেসের মধ্যে। সে বার সামশেরগঞ্জে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন রেজাউল। বাম ও নির্দল প্রার্থীর ভোট ভাগাভাগির ফলেই জেতেন তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম। অল্প ভোটের ব্যবধানে হারেন সে বারের বিদায়ী বিধায়ক তোয়াব আলি।
২০১৬ বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল পেয়েছিলেন ৪৮৩৮১টি ভোট (৩০.৪৩ শতাংশ)। সিপিএম প্রার্থী তোয়াব পান ৪৬৬০১টি ভোট (২৯.৩১ শতাংশ)। আর নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে রেজাউল পান ৪২৩৮৯টি ভোট (২৬.৬৬ শতাংশ)। এ বার আর নির্দল নয়, কংগ্রেসের প্রতীকেই দাঁড়িয়েছেন রেজাউল।
যদিও মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের একাংশের বক্তব্য, তাঁদের তরফ থেকে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল সামশেরগঞ্জ আসনটি নিয়ে। কিন্তু সিপিএম কথা না শুনে একতরফা প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। এই অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের মধ্যে জোটের জট কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এখন সেটাই দেখার।