বিক্ষোভ কর্মীদের। নিজস্ব চিত্র।
পূর্ব বর্ধমান জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায়কে কাটোয়ার প্রার্থী হিসাবে মানতে নারাজ দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সিংহ ভাগ। প্রার্থী বদলের দাবিতে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। এমনকী, সাংবাদিক বৈঠক ডেকে দলের জেলা সভাপতিকেই কাটোয়ায় ‘বহিরাগত’ আখ্যা দেন কাটোয়ার কংগ্রেস নেতাদের একাংশ। প্রবীরবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘মতানৈক্য মিটে যাবে।’’
তৃণমূল-ত্যাগী রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে কাটোয়ায় প্রার্থী করার জন্য প্রদেশ নেতৃত্বের কাছে আবেদন করেছিলেন স্থানীয় নেতৃত্ব। প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ভাইপো রণজিৎকে প্রার্থী করার বিরোধী ছিলেন রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ। দলের কেন্দ্রী। ইলেকশন কমিটির বৈঠকেও রণজিতের প্রার্থিপদ নিয়ে মতৈক্য না হওয়ায় ওই কেন্দ্রে প্রার্থী বাছাইয়ের ভার দেওয়া হয় কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে। সোমবার রাতে প্রবীরবাবুর নাম ঘোষণা করে এআইসিসি ।
এ দিন কাটোয়া শহরের সার্কাস ময়দান এলাকায় বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। স্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের একাংশ সাফ জানিয়ে দেন, প্রার্থী বদল না হলে কর্মীরা নির্বাচনের কাজ করবেন না।
সাত মাস আগে জেলা কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব পান বর্ধমান শহরের বাসিন্দা প্রবীরবাবু। দলের একাংশ মনে করছেন, প্রবীরবাবুর নামে সিলমোহর দিয়েছিলেন খোদ দলের সভানেত্রী। তাই ওই কেন্দ্রে প্রার্থী বদলের সম্ভবনা কার্যত নেই। তা ছাড়া খোদ জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ শীর্ষ নেতৃত্ব ভাল চোখে দেখবেন না বলেই মনে করছেন স্থানীয়-নেতা কর্মীদের একাংশ।
কাটোয়া শহর কংগ্রেসের সম্পাদক শুভাশিস সামন্তের দাবি, “প্রার্থী হিসেবে ভূমিপুত্র রণজিৎকে চেয়েছিলাম। প্রদেশ কংগ্রেস এবং এআইসিসি-র কাছে আবেদনও করেছিলাম। কিন্তু গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। প্রবীরবাবুর বাড়ি কাটোয়া থেকে ৬০ কিমি দূরে। তাঁকে মানব না। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে কর্মীরা ভোটে নিষ্ক্রিয় থাকবেন।” রণজিৎবাবু বলেন, “সাধারণ মানুষ ও দলের কর্মীরা প্রার্থীকে চেনেন না। আসনটি কার্যত তৃণমূলের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হল। এই সিদ্ধান্ত আমরা মানছি না।”
প্রবীরবাবু বলেন, “হাইকমান্ড সব দিক বিবেচনা করে আমাকে যোগ্য মনে করেছে। এ নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকতেই পারে। শীঘ্রই তা মিটে যাবে।”