রাজ্যের আরও ৩৯টি বিধানসভা আসনের জন্য কংগ্রেস প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করল এআইসিসি। এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ৫০টি আসনে। বিধাননগর ও কাটোয়া আসনে এখনও তাদের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হয়নি। ওই দুই আসন ধরে সংযুক্ত মোর্চার শরিক হিসেবে কংগ্রেস লড়ছে এ বার মোট ৯১টি কেন্দ্রে।
দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির (সিইসি) বৈঠকের পরে শনিবার বেশি রাতে যে প্রার্থী তালিকা এআইসিসি ঘোষণা করেছে, তাতে শান্তিপুরে ঋজু ঘোষাল ও শামসেরগঞ্জে মহম্মদ রেজাউল হকের (মন্টু) নাম আছে। শামসেরগঞ্জে সিপিএম কয়েক দিন আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে, শান্তিপুরও তারা লড়তে চায় বলে দাবি করেছে। তারও আগে জয়পুর ও বাঘমুণ্ডি আসনে কংগ্রেসের পাশাপাশি বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী আছেন। এই হিসেবে চারটি আসনে বাম ও কংগ্রেসের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’য়ের পরিস্থিতি জিইয়ে থাকল।
বিধাননগর ও কাটোয়া কেন্দ্রে কাদের প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে প্রদেশ স্তরে দ্বিমত থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর উপরে। কাটোয়ায় অধুনা তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ভাইপোকে কংগ্রেস প্রার্থী করার প্রস্তাবে দলের মধ্যেই আপত্তি উঠেছে। বিকল্প হিসেবে জেলার এক বর্ষীয়ান নেতার নাম রয়েছে। আর বিধাননগরে অরুণাভ ঘোষ দাঁড়াতে না চাওয়ায় অন্য দু’টি নাম বিবেচনায় রয়েছে।
এ বারের তালিকায় উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে রয়েছেন নোয়াপাড়ায় শুভঙ্কর সরকার, পানিহাটিতে তাপস মজুমদার, বসিরহাট দক্ষিণে অমিত মজুমদার, চৌরঙ্গিতে সন্তোষ পাঠক, ভবানীপুরে প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খান, রাসবিহারীতে আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়েরা। বাদুডিয়ায় বাম জমানার প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুস সাত্তার, কলকাতা বন্দরে মহম্মদ মুখতার প্রার্থী হচ্ছেন। জোড়াসাঁকোয় প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব ছিল শিখা মিত্রের জন্য, তিনি রাজি না হওয়ায় আজমল খানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। জোটে এ বার বরানগরে লড়ছে কংগ্রেস, সেখানে প্রার্থী অমল মুখোপাধ্যায়। ভাটপাড়ায় ধর্মেন্দ্র সাউ।