— ছবি সংগৃহীত
ভোটের ময়দানে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বীদের নিশানা করেন, চেনা দস্তুর এমনই। কিন্তু উল্টো পথে হাঁটছেন নোয়াপাড়ার কংগ্রেস প্রার্থী। তাঁর বিরুদ্ধে কার কী বলার আছে, জানতে চাইছেন তিনি। এলাকার মানুষের অভিযোগও শুনতে চাইছেন। নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযোগ রেখে যাওয়া হলে কংগ্রেস প্রার্থী চেষ্টা করছেন সে সবের প্রেক্ষিতে নিজের বক্তব্য জানানোর।
রাজনৈতিক জীবনে নানা ঘাটের জল খেয়ে এ বার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের নোয়াপাড়া কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার। সেখানে উপনির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে জিতে বিধায়ক হওয়া সুনীল সিংহ এ বার দল বদলে বিজেপির প্রার্থী। আর তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন ওই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক মঞ্জু বসু। শুভঙ্কর বলছেন, ‘‘ওঁদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ভাবে আমার কিছু বলার নেই। আমার সম্পর্কে কিছু বলার থাকলে, অভিযোগ বা নালিশ থাকলে মানুষ জানাতে পারেন। এলাকার কোন সমস্যার দিকে বিধায়কের নজর দেওয়া উচিত বলে তাঁরা মনে করেন, তা-ও জানাতে পারেন।’’ বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে শুভঙ্করের তরফে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাঁর যা বলার আছে, সে সব লিখে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় যেন রেখে দেওয়া হয়। পরের দিন প্রার্থী সেখানে যাবেন। এলাকার শ্রমিক মহল্লা হোক বা ঝুপড়িতে আগুন লাগার দিনে অকুস্থলে গিয়ে দাঁড়ানো— সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে মোর্চার প্রার্থীকে।
প্রদেশ কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের অন্যতম মুখ এবং নোয়াপাড়ার কংগ্রেস প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, প্রচারে তাঁরা ভাল সাড়া পাচ্ছেন। গত বার জয়ী নোয়াপাড়ার কংগ্রেস বিধায়ক, প্রয়াত মধুসূদন ঘোষের সঙ্গীও ছিলেন তিনি। শুভঙ্কর, অশোকদের মতে, মধুবাবুর যে ভাবমূর্তি ছিল, তা মাথায় রেখেই নোয়াপাড়ার প্রচারকে কাদা ছোড়াছুড়ির বাইরে রাখতে চান তাঁরা। শুভঙ্করের কথায়, ‘‘আমাদের রাজনৈতিক বক্তব্য তো বলছিই। তার পাশাপাশি মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাইছি, আমরা খেউড়ের রাজনীতিতে নেই!’’ গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস জয়ী হলেও নোয়াপড়ার উপনির্বাচন এবং গত লোকসভা ভোটের ফলে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। তার সঙ্গেই রয়েছে বিজেপির অর্জুন সিংহদের দাপট। ফলে, শক্ত লড়াইয়ের মুখে আছেন শুভঙ্কর। তাঁর সমর্থনে আগামী ১৪ এপ্রিল নোয়াপাড়ায় সভা করতে আসার কথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর।