প্রতীকী ছবি।
ইলামবাজারের নান্দার গ্রামে বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সহ পাঁচ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হল। মঙ্গলবার বিকেলে মৃতের পরিবারের তরফে বিজেপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ইলামবাজার থানায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়। ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সহ অভিযুক্তদের দাবি, ভোটের মুখে তাঁদের ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইলামবাজারের নান্দার গ্রামের বাসিন্দা, বছর ছাব্বিশের বাপি সোমবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। মঙ্গলবার সকালে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শাল নদীর চরে বাপির মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়েরা। ভোটের মুখে এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। পেশায় রং-মিস্ত্রি বাপি সক্রিয় ভাবে বিজেপি করতেন বলে দাবি করে পরিবার। একই দাবি করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকেও। মঙ্গলবার বিকেলে খুনের অভিযোগও দায়ের করা হল।
মৃত বাপির বাবা নিমাই আঁকুড় অভিযোগপত্রে দাবি করেছেন, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবারের নির্বাচনে যে ‘ভয়ঙ্কর খেলা’ হওয়ার কথা বলেছিলেন, সেই উস্কানি মূলক মন্তব্যের জেরেই ব্লক সভাপতি ফজলুল রহমান লোকজনদের দিয়ে ছেলেকে খুন করেছেন। ব্লক সভাপতি ফজলুলের অবশ্য দাবি, ‘‘মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবেই জড়িত নয়। আগামী দিনে মানুষ এর জবাব দেবে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে কী ভাবে ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হল, সেই নিয়ে একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতেই একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করা হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও সামনে আসেনি। তাই মৃত্যু কারণ পরিষ্কার নয়। যদিও এই ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছে বিজেপি।