মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে দিনহাটার সংহতি ময়দানে হেলিকপ্টারের মহড়া। নিজস্ব চিত্র।
এক দিকে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্য দিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার একই দিনে কোচবিহারে সভা করবেন দুই ‘হেভিওয়েট’ নেতা-নেত্রী। ভিড়ে কে কাকে টেক্কা দেবেন, তা নিয়েই আলোচনা জেলা জুড়ে। তৃণমূলের দাবি, জঙ্গলমহল থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা ‘ফ্লপ শো’ হয়েছে। শীতলখুচিতেও তাই হবে। উল্টো দিকে বিজেপি কর্মীদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় আর লোক হয় না। কোচবিহারের কোথাও তাঁর সভায় ভিড় জমবে না।
তৃণমূলের কোচবিহার জেলার কো-অর্ডিনেটর তথা দিনহাটার প্রার্থী উদয়ন গুহ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধায়ের সভায় ভিড় উপচে পড়ে। তা নতুন কিছু নয়। এ বারেও মানুষের ঢল নামবে। জায়গা ধরবে না।” বিজেপির তপসিলি মোর্চার সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি, শীতলখুচির বাসিন্দা হেমচন্দ্র বর্মণ বলেন, “অমিত শাহের নাম শুনলেই ভিড় জমে। মাঠ তো বটেই, গোটা এলাকায় জনসমুদ্র হবে।”
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার কোচবিহারে দু’টি সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনহাটা সংহতি ময়দানে উদয়ন গুহ এবং সিতাই কেন্দ্রের প্রার্থী জগদীশ বসুনিয়ার সমর্থনে সভা করবেন মমতা। সেখানে সভা শেষ হওয়ার পরে তুফানগঞ্জ শহরে মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে তুফানগঞ্জ কেন্দ্রের প্রার্থী প্রণবকুমার দে এবং নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সমর্থনে সভা করবেন দলনেত্রী। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি মাঠে কমপক্ষে তিরিশ থেকে চল্লিশ হাজার করে সমর্থকদের ভিড় জমবে। ওই দিন সকাল ১১টা নাগাদ শীতলখুচির ডাকঘরা পেট্রোল পাম্পের পাশের মাঠে সভা করবেন অমিত শাহ। পরে তিনি যাবেন আলিপুরদুয়ারে। ডাকঘরার মাঠে শীতলখুচি বিধানসভা থেকেই তিরিশ হাজার লোক জমায়েতের ‘টার্গেট’ নিয়েছিল বিজেপি। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সিতাই ও মাথাভাঙা থেকেও কর্মী-সমর্থকরা যোগ দেবেন ওই সভায়। সে ক্ষেত্রে লোকসংখ্যা দ্বিগুণের কাছাকাছি যাবে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
সুভাষিনী চা বাগান সংলগ্ন মাঠে অমিত শাহের সভার প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র।
এই অবস্থায় এই তিন মহকুমাতেই শুক্রবার সকাল থেকে যানজট পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, সভার জন্য কোনও সমস্যা তৈরি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।