প্রতীকী ছবি।
ভোটে প্রার্থী হয়েছেন বিজেপির তিন সাংগঠনিক জেলা সভাপতি। ভোটের আগেই সেই তিন জেলা সভাপতি বদল হল পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে। বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতি হয়েছেন সৌমেন তিওয়ারি। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হয়েছেন তন্ময় দাস। আর ঝাড়গ্রামে বিজেপি-র নতুন জেলা সভাপতি হলেন তুফান মাহাতো।
মঙ্গলবার এই সভাপতি বদলের কথা দলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, সদ্য প্রাক্তন সভাপতিরা এ বার প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থীর পক্ষে তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে অন্য কেন্দ্রের সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখা কঠিন। সবদিক দেখেই দলের এই পদক্ষেপ। ঝাড়গ্রামের বিদায়ী জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী ঝাড়গ্রাম বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন। সুখময় মানছেন, ‘‘আমি প্রার্থী হওয়ায় জেলা চালাতে সমস্যা হতে পারে। দলের রাজ্য নেতৃত্ব দক্ষ সংগঠক তুফানকে দায়িত্ব দিয়েছেন।’’
মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ছিলেন শমিত দাশ। শমিত এ বার মেদিনীপুরে প্রার্থী হয়েছেন। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য পিংলায় প্রার্থী হয়েছেন। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতি সৌমেন এর আগে জেলা সহ-সভাপতি ছিলেন। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতি তন্ময় এর আগে জেলা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নতুন দায়িত্ব পেয়ে সৌমেন বলেন, ‘‘নতুন দায়িত্ব ভালভাবে পালন করার সব রকম চেষ্টা করব।’’ গুঞ্জন ছিল, সৌমেন এ বার নারায়ণগড় থেকে দাঁড়াতে পারেন। টিকিটে অবশ্য শিকে ছেড়েনি তাঁর।
ঝাড়গ্রামের নতুন জেলা সভাপতি বছর বিয়াল্লিশের তুফানের বাড়ি মানিকপাড়া অঞ্চলের ঝাঁটিবাঁধ গ্রামে। বছর দেড়েক ধরে তুফান ছিলেন বিজেপির জেলা সম্পাদক। আগে বছর দশেক সঙ্ঘের প্রচারক ছিলেন। সঙ্ঘের ঝাড়গ্রাম জেলার কার্যবাহ এবং সঙ্ঘের অবিভক্ত মেদিনীপুরের সেবা প্রমুখও ছিলেন তিনি। ২০১৮-এর শেষ নাগাদ বিজেপির জেলা সদস্য হিসেবে গেরুয়া রাজনীতিতে প্রবেশ। তুফান বলছেন, ‘‘জেলার চারটি বিধানসভায় পদ্মফুল ফোটানোই আমাদের মুল লক্ষ্য।’’
তবে অস্বস্তির কাঁটাও রয়েছে। গোপীবল্লভপুরে টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ জেলা বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ। অন্দরের খবর, ওই কেন্দ্রে ৪২ শতাংশ কুড়মি ভোটের কথা মাথায় রেখে কুড়মি সম্প্রদায়ের সঞ্জিত মাহাতোকে প্রার্থী করা হয়েছে। সঙ্ঘ থেকে উঠে আসা অবনী ঘোষ বিজেপির বহুদিনের সংগঠক। মোদীর ব্রিগেডে যাননি অবনী। অবনীর দাবি, দুর্ঘটনায় জখম হয়ে তিনি ঘরবন্দি। বাড়ি থেকেই সংগঠনের কাজ করছেন। তবে তাঁকে নিয়ে জল্পনা দলের অন্দরেই। অবনী অবশ্য বলছেন, ‘‘আমরা পদের জন্য দল করি না। আমরা রাষ্ট্রের জন্য সমর্পিত।’’
এ দিন বিকেলে মেদিনীপুরে দলবদলও হয়েছে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সত্য রুইদাস। সত্য তৃণমূলের গড়বেতার বড়মুড়া বুথের সভাপতি ছিলেন। তাঁর দাদা মদন রুইদাস এ বার গড়বেতায় বিজেপির প্রার্থী।