রায়নার জনসভায় শুভেন্দু। —নিজস্ব চিত্র।
পূর্ব বর্ধমানে ভোট প্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার রায়নার ছোট বৈনান গ্রামে বিজেপি-র সভায় তিনি বলেন, ‘‘যে কায়দায় উনি (মমতা) এতদিন ভোট লুঠ করেছেন তা এ বার হচ্ছে না। তাই উনি নানারকম কথা বলছেন। ভোটের দিন গন্ডগোল হলে হোয়াটসঅ্যাপ করুন। ১৫ মিনিটে কিউআরটি (কুইক রেসপন্স টিম) আসবে। লাঠির বাড়ি এমন দেবে কটকট করবে।’’
রায়নার বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে আয়োজিত সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘বিজেপি বাংলার ক্ষমতা পেলে নলবাহিত পানীয় জল মিলবে সকলের। কৃষিপ্রধান জেলা বর্ধমান। অহঙ্কারী মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় অনুদানের ১৮,০০০ টাকা পেতে দেননি চাষিদের। বালি লুঠের সব টাকা তোলাবাজ ভাইপোর কাছে চলে যায়। বীরভূমের পাথর, বর্ধমানের বালি সব খাচ্ছে। এদের হাত থেকে যদি বাংলাকে না বাঁচান, বাংলা আর বাঁচবে না। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে ৩,০০০ টাকা করে বিধবা ভাতা। বার্ধক্য ভাতা পাবেন। মোদীজি রামমন্দির দিয়েছেন। ৩৭০ ধারা তুলে দিয়েছেন। তিন তালাক খতম করে মুসলিম মহিলাদের চোখের জল মুছিয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে লড়তে গেছিলেন উনি। উনি নাকি গোলকিপার। নন্দীগ্রামে বেলা ৩টায় খেলতে নেমেছেন। কিছু করার নেই। বাংলা বিজেপি-র হবে।’’
পূর্ব বর্ধমানের রাজনৈতিক হিংসার ঘটনাও এসেছে শুভেন্দুর বক্তৃতায়। তিনি বলেন, ‘‘দু’জন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি খুন হয়েছেন। তার মধ্যে একজন রায়নায়। এটা ভুলে যাবেন না। নদীগুলোকে শেষ করে দিয়েছে। বালির সব টাকা ভাইপোর কাছে যায়। বালির সব টেন্ডার পবন অরোরার কাছে যায়। যিনি ভাইপোর শ্যালিকাকে বিয়ে করেছেন। এরা ২০১৪ সাল থেকে এসএসসি পরীক্ষা করেনি। শিক্ষিত বেকাররা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কাজ বলতে সিভিক বা আশাকর্মী। সামান্য টাকায় তাঁদের সংসার চলে না।’’
শুভেন্দুর মন্তব্য প্রসঙ্গে বুধবার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘কে, কাকে বিদায় দেবে তা জানতে ২ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সেটা ওরা বুঝে গিয়েছে। তাই এ রকম ছেলেমানুষের মত কথা বলছে।’’