গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যে এক দিকে নির্বাচন চলছে, অন্য দিকে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। বুধবার আক্রান্তের সংখ্যা নয়া রেকর্ড ছুঁয়েছে। কিন্তু কোনও মতেই প্রচারের জন্য জমায়েতে রাশ টানা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় সর্বদল বৈঠক ডাকল নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। বাকি চার দফার ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোনও রদবদল করা যায় কি না তা-ও আলোচনা হতে পারে ওই বৈঠকে।
কমিশনের তরফে রাজ্যের ১০টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি লিখে এ কথা জানানো হয়েছে। ১৬ এপ্রিল, শুক্রবার, দুপুর ২টোর সময় কমিশনের রাজ্য দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে তাদের। স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি দল থেকে ১ জন করে প্রতিনিধি যাবেন এই বৈঠকে। কোভিড বিধির কথা মাথায় রেখেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুধু রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নয়, শুক্রবারের বৈঠকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা জগমোহন ও স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে।
রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেও প্রচারে জমায়েত কমানো যাচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। মঙ্গলবার এই ব্যাপারে শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রচারের সময় যাতে কোভিড গাইডলাইন মেনে চলা হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে। মাস্ক পরা, নির্দিষ্ট দূরত্ব বিধি মেনে চলার মতো বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিতে হবে। আদালতের এই নির্দেশের পরেই বৈঠক ডাকা হয়েছে কমিশনের তরফে। কী ভাবে কোভিড বিধি মেনে প্রচার করা যাবে সেটা নিয়েই কথা হবে শুক্রবারের বৈঠকে।
যদিও সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে দায়িত্বশীল পদক্ষেপ করেছে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট। তাদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাকি তিন দফার নির্বাচনে কোনও বড় জমায়েত তারা করবে না। বরং নেট মাধ্যমে ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারেই জোর দেবে তারা। বাকি দলগুলির তরফে অবশ্য এই ধরনের কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। যদিও এ বার নিজেই পদক্ষেপ করল কমিশন। এখন দেখার শুক্রবার বৈঠকের পরে কমিশনের তরফে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।