নিজস্ব চিত্র
প্রথম দফার ভোট শুরুর প্রাকমুহূর্তে বুধবার ফের রাজ্যে ভোটপ্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দফায় তাঁর গন্তব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড় কাঁথি। গত কয়েক দিন ধরে তারই প্রস্তুতি চলছে। শেষ মুহূর্তের প্রচারে পদ্মশিবিরের লক্ষ্য, মোদীর সভায় ৩ লক্ষ জমায়েত করে চমক দেওয়া।
গত রবিবার মোদী জনসভা করেছিলেন বাঁকুড়ায়। তার ৪৮ ঘণ্টা পরে বুধবার কাঁথিতে ভোটপ্রচারে আসছেন তিনি। রাজ্যে প্রথম দফার ভোট আগামী ২৭ মার্চ অর্থাৎ শনিবার। ওই দিন ভোট রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি উত্তর, কাঁথি দক্ষিণ, রামনগর, এগরা, পটাশপুর, ভগবানপুর এবং খেজুরি কেন্দ্রে। রাজনৈতিক দলগুলি শেষ প্রচার করার সুযোগ পাবে আগামী ২৫ মার্চ বিকেল পর্যন্ত। পশ্চিমবঙ্গ সফরের জন্য ঠিক তার আগেই দিনটি বেছে নিয়েছেন মোদী।
বুধবার মোদীর জনসভা দেশপ্রাণ স্টেশন লাগোয়া চাষের জমির উপর। পদ্মপুকুরিয়া এলাকার সেই জমির উপরেই পদ্মশিবিরের কর্মসূচি। সভামঞ্চের সামনে তৈরি করা হয়েছে ৩টি জার্মান হ্যাঙার। এ ছাড়া দর্শকাসনের মাঝে বসানো হয়েছে বেশ কয়েকটি এলইডি স্ক্রিন-ও। সভাস্থলে যাতায়াতের রাস্তা ঢেকে দেওয়া হয়েছে মোদীর কাউ আউটে। তবে তার মধ্যে কোথাও ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারীর ছবি নেই। যা দেখে রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের ব্যাখ্যা, কাঁথি শুভেন্দুর গড় হলেও, সেখানে দলীয় প্রচারের রাশ নিজের হাতেই রাখতে চান মোদী। অনেকের মতে, একই কৌশল তিনি নিয়েছিলেন লোকসভা ভোটের সময়েও।
কাঁথির বিজেপি নেতা নবীন প্রধানের মতে, ‘‘পদ্মপুকুরিয়ার ওই মাঠটি বিজেপি-র কাছে পয়া। কারণ, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এই মাঠেই সভা করেছিলেন অমিত শাহ। সভা শেষে বিজেপি কর্মীদের গাড়িতে হামলা হয়। কিন্তু তার পর থেকেই জেলা জুড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার ঢল নামে।’’ নবীনের দাবি, শুধুমাত্র প্রথম দফার ৭টি আসন নয়, জেলার মোট ১৬টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনেই প্রধানমন্ত্রীর এই সভা। তাই অন্তত ৩ লক্ষ মানুষকে সভায় হাজির করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে দলের নেতারা, এমনটাই বলছেন নবীন। দলের নেতাদের দাবি, লক্ষ্যপূরণ তো হবেই, অতিরিক্ত ২ লক্ষ সমর্থকেরও ওই সভায় যোগ দেওয়ার কথা। ঘটনাচক্রে কাঁথির ওই সভাতেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শিশির-পুত্র দিব্যেন্দু অধিকারীর।
বুধে বিজেপি-র সভা আয়োজন নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। জোড়াফুল শিবিরের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নেতা মামুদ হোসেনের মতে, ‘‘বিজেপি কোথাও লোক জমাতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলায় জেলায় ছুটে বেড়াচ্ছেন। এতে মানুষের মন ভিজছে না। কাঁথিতে প্রধানমন্ত্রীর সভা ভরাতে হবে বাইরে থেকে লোক এনে।’’