সুদিন কি ফিরবে কৃষকদের। ফাইল চিত্র।
‘কৃষি আমাদের ভিত্তি’ বলেও ক্ষমতাচ্যূত হতে হয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকারকে। কারণ, সেই সময়ে কৃষক আবেগ নিয়ে রাজনীতির ময়দানে ছিলেন আজকের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আন্দোলনের মধ্যে নীলবাড়ির দখল নেওয়া মমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেই কৃষকদের কাছেই বেশি করে পৌঁছতে চাইছে বিজেপি।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নীলবাড়ির লড়াই শুরুর একেবারে প্রথম লগ্নেই বিজেপি ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ কর্মসূচি নিয়ে গ্রামে গ্রামে যায়। এর পরে ‘বাড়ি বাড়ি মুষ্টিভিক্ষা’ কর্মসূচিও ছিল কৃষকদের সঙ্গে জনসংযোগের লক্ষ্যে। তারও পরে একসঙ্গে কৃষকদের নিয়ে বসে খাওয়া ‘সহভোজ’-এর কর্মসূচি। যাতে রাজ্য নেতারা তো বটেই, খোদ সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাও অংশ নিয়েছেন। শুধু জমি চাষিদের সঙ্গেই নয়, সেই সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গিয়ে মৎস্যচাষিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নড্ডা।
নীলবাড়ির লড়াইয়ে বিজেপি যে ইস্তাহার প্রকাশ করেছে তাতেও প্রত্যাশিত ভাবেই রয়েছে কৃষক মন জয়ের চেষ্টা। ক্ষমতায় এলে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই বাংলায় ‘প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি’ প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এটাও বলা হয়েছিল যে, গত ৩ বছরে না পাওয়া ১৮ হাজার টাকা এককালীন পাবেন কৃষকরা। সে সবের পাশাপাশি কৃষি পরিকাঠামো থেকে কৃষক পরিবারের সন্তানদের জন্যও একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি।