BJP

Bengal Polls: আত্মঘাতী হয়েছেন দিনহাটার বিজেপি নেতা, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের

সম্পূর্ণ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২১ ০২:২৭
Share:

জেলা পুলিশ সুপার দেবাশিস ধর। নিজস্ব চিত্র।

বিজেপি নেতা অমিত সরকারের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও তেতে রয়েছে উত্তর দিনাজপুরের দিনহাটা। শনিবারই অমিতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসে পুলিশের হাতে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী প্রাথমিক ভাবে এটা আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করছে পুলিশ। সুইসাইড নোটে হাতের লেখা পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের কাছে তা পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সেই রিপোর্ট এলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে আদতে অমিত আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে খুন করা হয়েছে।

Advertisement

জেলার পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরের মতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে আত্মহত্যা করেছন ওই বিজেপি নেতা। যদিও এই ধারণা একেবারেই প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। সম্পূর্ণ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। গত ২৪ শে মার্চ দিনহাটার ডাক বাংলো পাড়ার পশু হাসপাতালের বারান্দা থেকে অমিতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, বিজেপি নেতাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অমিতের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর স্ত্রী দিনহাটা থানায় ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগপত্রে তৃণমূল নেতাদের নাম উল্লেখ করেছেন অমিতের স্ত্রী। ফলে ভোটের আগে চাপে পড়ে তৃণমূল। তবে অমিতের পকেট থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হওয়ায় কিছুটা চাপ মুক্ত হয় তারা। কিন্তু সেখানেও বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাদের নেতাকে খুন করে তাঁর পকেটে সুইসাইড নোট রেখেছে তৃণমূল । দলের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জনসমক্ষে আনার দাবি তোলা হয়। পাশাপাশি, সুইসাইড নোটের হাতের লেখা বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করানোরও দাবি করা হয়।

অমিতের মৃত্যুর ঘটনায় চাপের মুখে পড়ে পুলিশ প্রশাসনও। ২৪ ঘন্টার মধ্যে বদলি করে দেওয়া হয় কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে। এই ঘটনার তদন্তের তদারকি করতে কোচবিহারে ছুটে আসতে হয় পুলিশের বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবেকে। তিনি কোচবিহারে এসে সমস্ত তদন্তকারী আধিকারিক এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের আইজি এবং জলপাইগুড়ির ডিআইজি-র সঙ্গেও কথা বলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement