ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার অষ্টম দফায় এক সঙ্গে বীরভূম জেলার ১১ আসনে ভোটগ্রহণ। এই দফায় রাজ্যে মোট ৩৫ আসনে নির্বাচন হলেও কমিশনের নজরে অনুব্রত-গড়। অতীতের মতো এ বারও তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করেছে কমিশন। যদিও তার পরেও বুধবার সকাল থেকে অনুব্রতকে নজরে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কমিশনের কর্তা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের।
ভোটের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলাকে কার্যত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে মুড়ে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন। জেলার ১ হাজার ১৭৫টি বুথ স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২১৯টি কুইক রেসপন্স দল গঠন করা হয়েছে৷ এ ছাড়া ২২৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে এই জেলায়। ৬ জন বাড়তি পুলিশ অফিসারকেও নিয়োগ করেছে কমিশন। ৬০ ঘণ্টার জন্য অনুব্রতকে নজরবন্দি করার পাশাপাশি গোটা জেলাই কার্যত নজরবন্দি।
অষ্টম দফায় বীরভূম ছাড়াও ভোট রয়েছে মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও কলকাতায়। বাকি ৩ জায়গায় সপ্তম দফাতে ভোট হলেও বীরভূমে এটাই প্রথম ও একমাত্র দফা। জেলায় মোট ৩ হাজার ৯০৮টি বুথে ভোটগ্রহণ হবে। তার মধ্যে ১ হাজার ১৭৫টিকে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নানুর, লাভপুর, ইলামবাজার, পাঁড়ুই, খয়রাশোল, দুবরাজপুরেরই বেশি বুথ স্পর্শকাতর। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ১১ জন ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনের দায়িত্বে থাকছেন। ২৭৯টি বুথে থাকছে মাইক্রো অবজার্ভার। ভোটের পরেও যাতে গোলমাল না হয় তার জন্য ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৬ জন পুলিশ অফিসারকে বীরভূমে নিয়োগ করা হয়েছে।
এই জেলাকে রাজনৈতিক ভাবেও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে গত লোকসভা নির্বাচনের ফল। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে বীরভূমে বিজেপি কার্যত দাঁত ফোটাতে না পারলেও, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই জেলার ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৫টিতে বিজেপি এগিয়ে যায় তৃণমূলের থেকে। তেমনই এই লোকসভারই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এবং গ্রামীণ অঞ্চল মুরারই, হাসন ও নলহাটিতে বিজেপি-র চেয়ে অনেক বেশি ব্যবধানে এগিয়ে তৃণমূল।