ধূপগুড়িতে ব্যাট-বল নিয়ে মিছিল তৃণমূল প্রার্থীর। নিজস্ব চিত্র
ব্যাট-বল হাতে ‘খেলা হবে’ স্লোগান তুলে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে অভিনব প্রচার তৃণমূলের। শুক্রবার ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিতালি রায়ের মহামিছিলে দেখা গিয়েছে ব্যাট-বলও।
প্রার্থী ঘোষণার হওয়ার পর ধূপগুড়ি শহরের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশ প্রার্থীর হয় প্রচারে নামেননি। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগও সামনে চলে এসেছিল। এরপর তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী ধূপগুড়ির একটি বেসরকারি লজে দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের পর তৃণমূলের অন্তর্বিরোধ মিটিয়ে ধূপগুড়িতে দু’পক্ষ একসঙ্গে মহামিছিল করলেন ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক তথা তৃণমূল প্রার্থী মিতালি রায়ের সমর্থনে।
শুক্রবার বিকেলে ধূপগুড়ির বৈরাতিগুড়ি হাইস্কুল ময়দান থেকে শুরু হয় মহামিছিল। পা মেলান তৃণমূল প্রার্থী মিতালি, জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি কৃষ্ণকুমার, যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়, ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান রাজেশকুমার সিংহ-সহ দলের নেতা-কর্মীরা। তবে ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ শুক্রবারের মিছিলে অনুপস্থিত ছিলেন ধুপগুড়ির প্রবীণ তৃণমূল নেতা তথা বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান অশোক বর্মন। এমনকি, ধূপগুড়ি পুরসভায় শাসকদলের ৬ জন কিন্তু এদিনের মিছিলে গরহাজির ছিলেন। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা, গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আজকের এই মহামিছিলের ব্যাট-বল হাতে দেখা যায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। মিছিলের শুরুতে ছিল নারকেল ফাটিয়ে আনুষ্ঠানিক সূচনা।
তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার বলেন, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনে ধূপগুড়ি আসনটি আমরা জিতব। ধূপগুড়ির মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য এই আসনটি আমাদের উপহার দেবেন।’’ প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিধানসভা ভোটের প্রার্থী হিসেবে প্রচার শুরুর আগে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্য বন দফতরের একটি কুনকি হাতিকে পুজো করে বিতর্কে জড়িয়েছেন মিতালি।