নজরদারি: চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল। ছবি: নির্মল বসু।
ভোটের আগে-পরে বহু সন্ত্রাসের সাক্ষী তাঁরা। প্রায় কোনও বারই দুষ্কৃতীদের হুমকির জেরে ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ তুলছেন। মিনাখাঁর বালিগৌরী, কুমারজোল, জয়গ্রাম, চাপালি-সহ বসিরহাটের বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষের অভিজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে একই রকম। এ বার অবশ্য তাঁরা এ বার ভরসা রাখছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরে। যে ভাবেই হোক, নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চাইছেন সকলে।
বালিগৌরীর রিনা মণ্ডল, কুমারজোল গ্রামের ইউনুস মোল্লা, চাপালির জুনি সর্দারদের বক্তব্য, ভোটের আগে দুষ্কৃতীরা বাড়িতে এসে বলত, ভোট দিতে গেলে মুণ্ড কেটে নেবে। হাত-পা ভেঙে দেবে। এ সবের পরেও লোকসভায় ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে হাতে কালি দিয়ে টিপ সই করিয়ে কার্যত ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছিল বলে তাঁদের অভিযোগ। এ বার যে ভাবেই হোক, নিজেদের ভোট নিজেরা দিতে চাইছেন তাঁরা।
গত কয়েক মাস ধরে ভোটের আবহে বার বার সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে নানা এলাকায়। একাধিক রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে।
দলবদলের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে বসিরহাটের দুই কেন্দ্রে। নির্বাচন প্রক্রিয়ার শুরুতে বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক তথা ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসকে তৃণমূল প্রার্থী না করায় তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এই পরিস্থিতিতে এই কেন্দ্রে ভোট নিয়ে আগ্রহ আছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে। বসিরহাট উত্তর কেন্দ্রের ডাকসাইটে তৃণমূল নেতা ফিরোজ কামাল গাজি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তবে রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা মানছেন, সব কেন্দ্রেই কড়া টক্কর হতে চলেছে। নির্বাচনের অনেক আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পড়ায় বড় কোনও হামলা, বা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়ার তেমন অভিযোগও এ বার উঠছে না।