কাছাকাছি: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সভামঞ্চে আরাবুল। নিজস্ব চিত্র
দলের নেতৃত্বের নির্দেশে ‘অভিমান’ ভুলে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন আগেই। ভাঙড়ে জনসভা করতে এসে সেই আরাবুল ইসলামের সঙ্গে একান্তে কথা বলতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সভা শেষে আরাবুলও জানিয়ে দিলেন, দিদির নির্দেশ মেনে চলবেন।
৫ মার্চ বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করে তৃণমূল। ভাঙড় থেকে প্রার্থী করা হয় চিকিৎসক রেজাউল করিমকে। টিকিট না পেয়ে সে দিনই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছিল ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে। রেজাউলকে ভাঙড়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে হুমকিও দিয়েছিলেন তাঁর অনুগামীরা। এমনকী তিনি দল ছাড়তে পারেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়। তাঁর মান ভাঙাতে আসরে নামেন দলের এক রাজ্য নেতা। তারপর থেকে অবশ্য আরাবুল ইসলামকে দলীয় প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে দেখা যায়। রবিবার তৃণমূল প্রার্থী রেজাউল করিমের সমর্থনে ভাঙড়ের ভোজেরহাটে সভা করতে আসেন মমতা। সেখানেই আরাবুল ইসলামের সঙ্গে একান্তে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। পরে আরাবুল বলেন, “আমি দলের অনুগত সৈনিক। দল যা নির্দেশ দেবে, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।” দিদি তাঁকে কী বার্তা দিলেন, তা জানতে চাইলে আরাবুল বলেন, “দিদি আমাকে মাথা ঠান্ডা রেখে দলের জন্য কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি দিদির নির্দেশ মেনে চলব।” এ দিন সভা থেকে মমতা বলেন, “এ বার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে জানিয়েছিলেন রেজ্জাক মোল্লা। আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ, নান্নু হোসেন, ওহিদুল ইসলামের মতো অনেকেই টিকিটের দাবিদার ছিলেন। আমি ভাবলাম, কী করা যায়। রেজাউল অনেক সমাজ সেবামূলক কাজ করেন। তিনি মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছেন। যদিও রেজাউল আমার কাছে টিকিট চাননি। আমি তাঁকে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছি।”