অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
দুবরাজপুরের প্রার্থী নিয়ে এ বার একটা হেস্তনেস্ত চাইছেন অনুব্রত মণ্ডল। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এ বিষয়ে বার্তাও পাঠিয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। দল যাঁকে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে, সেই অসীমা ধীবরকে নিয়ে দুবরাজপুরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিস্তর ক্ষোভ ছড়িয়েছে। তার জেরেই অনুব্রতের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
দলের স্থানীয় নেতারা ইতিমধ্যেই প্রার্থী বদলের দাবিতে অনুব্রতের কাছে দরবার করেছেন। অনুব্রতও ঘনিষ্ঠ মহলে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার পরেও অনেকটা সময় চলে গিয়েছে, কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। জেলা সভাপতি ঘনিষ্ঠ এক নেতা সোমবার বলেন, ‘‘এ দিনই কেষ্টদা (অনুব্রত) সুব্রত বক্সীকে ফোন করে দুবরাজপুরের দলীয় প্রার্থী নিয়ে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেটা না হলে বিদায়ী বিধায়ক নরেশচন্দ্র বাউড়িকে নিয়েই প্রচারে নামবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।’’
ষদিও এমন ফোনের কথা স্বীকার করেননি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘আমি কখনও দলের বিরুদ্ধে যাই না। এটা দলের বিষয়, দলকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’’ সেই সিদ্ধান্ত কি প্রার্থী বদলের? সেটা অবশ্য অনুব্রত ভাঙেননি।
গত ৫ তারিখ তৃণমূল প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় নাম ছিল খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভানেত্রী অসীমা ধীবরের। পর দিন অসীমার সমর্থনে দুবরাজপুরে সভাও করেন অনুব্রত। ছিলেন বিদায়ী বিধায়ক নরেশও। কিন্তু তাল কাটে দিন দুয়েকের মধ্যেই। প্রার্থী বদলের দাবি নিয়ে অনুব্রতের কাছ হাজির হন খয়রাশোল ও দুবরাজপুরের নেতারা। প্রচার থেকে দেওয়াল লিখন করা থেকেও বিরত ছিলেন সকলে। এলাকার নেতা-কর্মীদের এমন অবস্থান ভাবিয়ে তুলেছিল দলকে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় নেতাদের দাবি মেনে কয়েকটি নাম পাঠানো হয় রাজ্যে। কিন্তু প্রার্থী বদল হবে কি না, স্পষ্ট হচ্ছিল না। দিন কয়েক আগে কলকাতায় দলের তরফে বীরভূমের ১১টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১০ জন প্রার্থীকে ডাকা হলেও ডাক পাননি অসীমা। যা প্রার্থী বদলের জল্পনায় আরও ইন্ধন জুগিয়েছে।