প্রচারে: দুবরাজপুর কেন্দ্রের প্রার্থী দেবব্রত সাহার প্রচারে অনুব্রত মণ্ডল। শনিবার। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত।
কোপে পড়ার জন্য এ বার নির্বাচন কমিশনের নাম উচ্চারণ করেননি। তবে, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য ঘুরিয়ে কমিশনকে ফের ‘অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র’ বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত। সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য একই ভাবে দায়ী করলেন বিজেপি সরকারকেও।
দুবরাজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী দেবব্রত সাহার সমর্থনে শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ দুবরাজপুর পুর-শহরের একটি রোড শো করেন অনুব্রত। শহরের পাওয়ার হাউস মোড় থেকে আশ্রম মোড় পর্যন্ত দু’কিলোমিটারের বেশি ওই রোড-শো শেষে মাইক হাতে অনুব্রত বলেন, ‘‘এত করোনা সংক্রমণের মধ্যে আট দফা ভোট করল। এর জন্য দায়ী বিজেপি সরকার। আর অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র। অন্য কেউ নয়।’’ উল্লেখযোগ্য, কমিশনকে অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র’ বলে কটাক্ষ করা থেকে বিপক্ষ রাজনৈতিক দলকে ঠেঙিয়ে পগার পার করে দেওয়ার নিদান অথবা ভয়ঙ্কর খেলা হবে স্লোগান তোলা। বিভিন্ন জনসভা থেকে একের পর এক আপত্তিকর মন্তব্য করার জন্য দিন কয়েক আগেই নির্বাচন কমিশনের শো-কজের মুখে পড়েন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। শো-কজের জবাব দিতে হয়েছে তাঁকে। তবে, তাতেও পুরো দমেননি অনুব্রত। ফের কটাক্ষ করলেন, তবে কমিশনের নাম সরাসরি না-নিয়ে।
প্রসঙ্গত, আট দফা ভোট নির্ঘন্ট নিয়ে তৃণমূল বারবার কমিশনকে দূষেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সরব হয়েছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, আট পর্বের নির্বাচন কাকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য? বিজেপি যা ঠিক করে দিয়েছে, সেই ভাবেই ভোট হচ্ছে। করোনা সংক্রমণকে সামনে রেখে এ দিন সুর চড়ালেন অনুব্রতও।
তবে, দলের জেলা সভাপতি শুক্রবার করোনা প্রতিষেধক নেওয়ায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশকে এ দিন মাস্ক পরতে দেখা গিয়েছে। তবে, করোনা সংক্রমণ নিয়ে সরব হলেও অনুব্রতের মুখে মাস্ক ছিল না। র্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অনুব্রত দাবি করেন, ‘‘তৃণমূল সরকার ফের ক্ষমতায় আসছে। ফের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি বলেছিলাম ২২০- ২৩০ আসন পাবে তৃণমূল। এখন মনে হচ্ছে, সেটাকেও ছাপিয়ে যাবে।’’ বিরোধীদের কটাক্ষ, উনি দিবা স্বপ্ন দেখছেন।