রানিবাঁধের সভায় অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
নির্বাচনে খেলার জন্য তৃণমূল প্রস্তুত হলেও, প্রতিপক্ষ এখনও খেলোয়াড় জোগাড় করতে পারেনি— বাঁকুড়া জেলায় প্রচারে এসে এ ভাবেই কটাক্ষ করলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
তাঁর ‘খেলা হবে’ স্লোগান এখন ভোটের প্রচারে বিভিন্ন দলের ‘ক্যাচলাইন’ হয়ে উঠেছে। এ দিন দুপুরে রানিবাঁধের বিরসা বাজারের জনসভায় অনুব্রত বলেন, ‘‘রাজ্যে খেলা হবে। কিন্তু এক পক্ষে খেলা হয় না। খেলতে গেলে দু’টি পক্ষ লাগে। নির্বাচন কমিশন রেফারি হিসেবে বাঁশি নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে। আমরাও খেলার জন্য তৈরি। কিন্তু আমাদের প্রতিপক্ষ দল এখনও খেলোয়াড় জোগাড় করতে পারছে না। খেলোয়াড় নিয়ে বিক্ষোভ চলছে তাদের।’’
ঘটনা হল, গত ক’দিনে প্রার্থী নিয়ে বিজেপির কার্যালয়ে বিক্ষোভ চলে। বিজেপির বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এটা বীরভূম নয়। মনে রাখবেন, এটা বাঁকুড়া। আগে নিজের জেলাটা সামলান, তার পরে অন্য জেলার কথা বলবেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য কী কাজ করেছেন, তার জবাব ২ মে দেখতে পাবেন।’’
সন্ধ্যায় পাত্রসায়রের কুশদ্বীপ বাজারের সভাতেও অনুব্রতের মুখে ‘খেলা হবে’ স্লোগান শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে। এই মাটিতেই খেলা হবে। ১৯৮৭ সাল থেকে খেলে আসছি। খেলে খেলে বিজয়ী হয়ে আসছি।’’ দুই সভাতেই তিনি বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন। রানিবাঁধে সভায় উপস্থিত ছিলেন ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আদিত্য কিস্কু। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপিকে ঠেকাতে জঙ্গলমহলে তৃণমূলকে সমর্থন করেছি আমরা। বাস্তবে দেখেছি, গরিবের উন্নয়ন বলতে যেটুকু হয়েছে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেই হয়েছে। তাই তৃণমূলের হাতকে শক্ত করতে আমরা জঙ্গলমহলে তৃণমূল প্রার্থীদের নিঃশর্ত সমর্থন করছি।’’