গোপীবল্লভপুরে জনসভায় অমিত শাহ। নিজস্ব চিত্র
প্রথম দফার ভোট প্রচারের শেষ দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুললেন অমিত শাহ। ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরে জনসভায় তিনি বলেন, ‘‘মা মাটি মানুষের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিলেন (মমতা) কিন্তু তারপর আপনাদের জন্য কিছুই করেননি।’’
বৃহস্পতিবার গোপীবল্লভপুর বিধানসভার সাঁকরাইল ব্লকের রোহিণী এলাকায় প্রথম দফা নির্বাচনের শেষ দিনের প্রচারে এসেছিলেন অমিত। এর আগে ১৫ মার্চ ঝাড়গ্রাম শহরের জামদা সার্কাস ময়দানে সভা করার কথা ছিল অমিতের। কিন্তু ওই দিন সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া শেষ মুহূর্তে সভা বাতিল হয়ে যায়। তবে ভার্চুয়ালি ভাবে বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। জেলার রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে আশানুরূপ ভিড় না হওয়ার কারণেই জনসভা বাতিল করেছিলেন অমিত।
সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সে দিকে ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপি নেতৃত্ব বিশেষ নজর দিয়েছিল। খুব একটা বড় মাঠে সভার আয়োজন করা হয়নি। স্থানীয়দের একাংশ জানাচ্ছেন, ৬-৭ হাজার দর্শকের মাঠে বৃহস্পতিবারের সভা হয়। সেই সভায় ঝাড়গ্রাম, গোপীবল্লভপুর, বিনপুর-সহ জঙ্গলমহলের প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার করেন অমিত। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি ৫ বছরের মধ্যে এই বাংলাকে সোনার বাংলা করে গড়ে তুলবে। মমতা দিদি বলেছেন ‘খেলা হবে’। আর মোদীজি (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) বলেন ‘বিকাশ হবে’। এ বার বাংলার জনতাকেই ঠিক করতে হবে ‘খেলা হবে’ না কি ‘বিকাশ হবে’।’’
অন্যদিকে, চন্দ্রকোনা এলাকায় বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে বৃহস্পতিবার জনসভা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ‘বাংলার মনীষী’ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে প্রণাম জানান তিনি। আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘সুন্দর বাংলা গড়ে তোলা হবে। কংগ্রেস, বামফ্রন্ট এবং তৃণমূল ক্ষমতায় থেকে কোনও কিছুই করেনি। বাংলায় দুর্নীতি, অরাজকতা হচ্ছে। দারিদ্র্য রয়েছে। কোনও উন্নয়ন হয়নি। পশ্চিম মেদিনীপুরে এসে কোথায় উন্নয়ন নজরে পড়েনি। এখানকার মানুষ আলু চাষ করেন। তাঁদের উন্নয়নের জন্য তৃণমূল সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কেন্দ্র খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের শিল্প স্থাপনে উদ্যোগী হলেও দিদি বাধা দিয়েছেন। বাংলার উন্নয়নের জন্য বিজেপি-কে দরকার।’’
কেশিয়াড়িতে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে বৃহস্পতিবার ‘রোড শো’ করেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের উৎসাহ, উদ্দীপনা দেখে মনে হয়েছে, তাঁরা নিশ্চিত ভাবেই পরিবর্তন চাইছেন। বিজেপি মানুষের জন্য কাজ করতে চায়।’’