ফাইল চিত্র।
গোটা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে কমিশনের কড়া বিধি মেনে রাজ্যে আর প্রচারে আসছেন না অমিত শাহ। শেষ দু’ফার ভোটগ্রহণের আগে অমিত আর কোনও সভা করবেন না বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। শুক্রবারই নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এর পরেই শনিবার অমিত-সূচি বাতিল হয়েছে। বীরভূমের রামপুরহাট, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা এবং কলকাতার মানিকতলায় সভা ছিল অমিতের।
রাজ্যে প্রথম থেকেই জনসভার থেকে বেশি রোড-শো করেছেন অমিত। গত ২২ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে আর রোড-শো করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় কমিশন। এর পরে সব রোড-শো-র সূচি বদলে জনসভা করা হয়। কমিশনের নির্দেশের আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়াল সভা করবেন বলে জানায় বিজেপি। সেই ভার্চুয়াল বক্তৃতা শোনার জন্য যে ক’টি সভা হয়, তার সর্বত্রই সর্বোচ্চ ৫০০ জনের বসার ব্যবস্থা করে রাজ্য বিজেপি। দলের এক রাজ্য নেতা জানিয়েছেন, ভার্চুয়াল বক্তৃতার জন্য ছোট সভার আয়োজন ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও অমিতের মতো মুখ কোনও সভায় গেলে সেখানে ভিড় সামলানো মুশকিল হতে পারে। এটা ভেবেই সূচি বাতিলের সিদ্ধান্ত।
সাধারণ ভাবে কোনও জনসভায় কত বেশি মানুষকে একত্রিত করা যায়, সেটাই হয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এখন কমিশনের নির্দেশে উল্টো কাজ করতে হচ্ছে। এর আগে ভাল ভিড় না হওয়ায় অমিত ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সভায় কথা থাকলেও জাননি বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ বার কারণ ‘উল্টো’ বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। বিজেপি-র মতো তৃণমূলও একই পথে হেঁটেছে। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক উপস্থিতিতে হবে এমন সব ঘোষিত জনসভা বাতিল করা হয়েছে। তার মূল কারণই হল— ভিড় যেন না হয়।
শুধু অমিত নয়, বিজেপি-র হয়ে প্রচারে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে মিঠুন চক্রবর্তী সকলেই বেশি করে রোড-শো করেছেন। কিন্তু এখন সবই 'স্ট্রিট কর্নার'-এর মতো ছোট ভাবে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার কলকাতার মানিকতলায় অমিত না আসায় সেখানে সভা করবেন দিলীপ। তিনি কলকাতায় আরও ৫টি ছোট সভা করবেন। অন্য দিকে, মিঠুনের সভা বৈষ্ণবনগর ও দুবরাজপুরে। অমিতের বীরভূম সফর বাতিল হওয়ায় সেখানে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি ময়ূরেশ্বর, সাঁইথিয়া এবং বোলপুরে সভা করবেন। মুর্শিদাবাদে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী ও লকেট চট্টোপাধ্যায়।