ভোট মানে একটা উৎসব বলেই জানতাম। আগেও এলাকায় সেই ভাবেই ভোট দিয়েছি। কিন্তু শনিবার সকালটা সব কিছু বদলে দিল। বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমাদের আনন্দ আর নেই। কী করে যে এমন একটা সর্বনাশ হল! শুনেছি, সকালবেলা থেকে ভোট দিতে যাবে বলে তৈরি হয়েছিল ছেলেটা। ভোট দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েওছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরা আর হল না।
আনন্দ বিজেপি সমর্থক বলেই আমরা সবাই জানি। এলাকায় গোলমালের খবর পেয়ে খোঁজ নিতে যাই। তখন শুনলাম, একজনের গুলি লেগেছে। সেটা যে আমার আত্মীয় আনন্দ, কী করে বুঝব? তবে খারাপ খবর তো হাওয়ায় ওড়ে। যেই শুনলাম, আনন্দর গুলি লেগেছে, ছুটে গেলাম হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে গিয়ে শুনলাম, সব শেষ। আনন্দ চলে গিয়েছে। কিছুতেই মন মানছে না। শুধু কান্না পাচ্ছে।
(প্রত্যক্ষদর্শী আনন্দ বর্মনের আত্মীয়)