—ফাইল চিত্র।
জনমত সমীক্ষায় আরও একবার তৃণমূলের সরকার গড়ার সম্ভাবনা সামনে এল। প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপির আসন একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনেকটাই নীচে থাকতে পারে বলে এই সমীক্ষার ইঙ্গিত।
সমীক্ষক সংস্থা সিভোটার ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত ১৯ হাজার ৩১৪ জনের মতামত নেয়। তারই ভিত্তিতে সমীক্ষা জানাচ্ছে, তৃণমূল পেতে পারে ১৫০ থেকে ১৬৬টি আসন। বিজেপি জয়ী হতে পারে ৯৮ থেকে ১১৪টি আসনে। বাম -কংগ্রেস-আইএসএফ জোট জিততে পারে ২৩ থেকে ৩১টি আসন এবং অন্যান্যরা ৩ থেকে ৫। রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গড়তে যে কোনও দলের কমপক্ষে ১৪৮টি আসন দরকার। এবিপি আনন্দ-সিভোটারের এই সমীক্ষা অনুযায়ী তৃণমূল সেই সংখ্যা সামান্য ব্যবধানে হলেও অতিক্রম করতে পারছে। তুলনায় বিজেপি একক গরিষ্ঠতার চেয়ে বেশ কিছুটা কম আসন পেতে পারে বলে সমীক্ষার ইঙ্গিত।
এই ধরনের জনমত সমীক্ষা কখনই চূড়ান্ত বলে ধরা হয় না। বরং সমীক্ষার ফল বহু ক্ষেত্রে মেলে না। তবু ফলাফলের আগাম ইঙ্গিত হিসেবে এই ধরনের সমীক্ষা একটি স্বীকৃত পদ্ধতি। রাজ্যে এ বারের নির্বাচন নিয়ে এর আগেও দু’টি জনমত সমীক্ষা করেছে সিভোটার। তাদের তিনটি সমীক্ষাতেই তৃণমূল এবং বিজেপির আসন-সম্ভাবনার মধ্যে একটা সামঞ্জস্য লক্ষ্য করা যায়। জানুয়ারিতে তাদের প্রথম সমীক্ষায় তৃণমূল ১৫৪ থেকে ১৬২টি আসন পেতে পারে বলা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় সেই সংখ্যাটি হয় ১৪৮ থেকে ১৬৪। এ বার আসন-সম্ভাবনার হিসাব সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উভয় ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় দফার থেকে ২টি করে বেড়েছে। একই ভাবে দ্বিতীয় দফার থেকে বিজেপির আসন বেড়েছে ৬টি করে। আর বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দফার থেকে তা কমেছে ৮টি করে। দ্বিতীয় দফায় জোট ৩১ থেকে ৩৯টি আসন পেতে পারে বলা হয়েছিল। এ বার তা কমে হয়েছে ২৩ থেকে ৩১।
সমীক্ষার ফলাফলে একটি বিষয় অবশ্য লক্ষ্যণীয়, তা হল তিন দফাতেই তৃণমূল ও বিজেপির ভোট প্রাপ্তির শতকরা হিসাব একরকম। তৃণমূল ৪৩% এবং বিজেপি ৩৮%। জোট ও অন্যান্যদের ক্ষেত্রে শতাংশের পরিমাণ কখনও ১ বেড়েছে বা কমেছে। এই প্রবণতা বিচার করে অনেকে মনে করছেন প্রার্থীদের জয় পরাজয়ের ব্যবধান এ বার বহু ক্ষেত্রেই খুব কম হতে পারে। পাশাপাশি অল্প ব্যবধানে যে সব আসনের ফল নির্ধারিত হতে পারে সেগুলির ক্ষেত্রে হয়ত সমর্থনের বিন্যাস কিছু বদলানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভোট শতাংশের হেরফের না হলেও অল্প হেরফেরের ইঙ্গিত মিলছে আসন সংখ্যায়।
অন্য দুই সমীক্ষার মত এ বারেও জনমতের ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা অনেক এগিয়ে। ৫২% ভোটার তাকেই পছন্দ করছেন বলে সমীক্ষার হিসাব। দ্বিতীয় স্থানে বিজেপির দিলীপ ঘোষ যাকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়েছেন ২৭%। সমীক্ষা আরও বলছে ৪২% মানুষ মনে করেন তৃণমূল জিতবে। বিজেপি জিতবে মনে করেন ৩৯%। আর ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হতে পারে বলে নতুন একটি সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছেন ২% ভোটার।