অধীর চৌধুরী। ফাইল চিত্র
করোনা পরিস্থিতির কারণে ভোট প্রচারে থেকে বিরত থাকার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। আপাতত বহরমপুরে নিজের বাড়িতেই রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আমজনতার স্বাস্থ্য-সুরক্ষার কথা ভেবে দলের নেতা-কর্মীদেরও জমায়েত থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যে ষষ্ঠ দফার ভোটের আগে বুধবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অতীতে বিজেপি-র সঙ্গে জোট গড়ার প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে খোঁচা দিলেন অধীর।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে অধীর বলেন, ‘‘দিদি আর তাঁর ভাইপো, দু’জনকেই আমার পরামর্শ, আয়নার সামনে দাঁড়ান আর জিজ্ঞাসা করুন— নরেন্দ্র মোদীর কাছে একা একা দিদি গিয়ে ক’দিন আগে কী আলোচনা করে এলেন ? ভাইপো আর পরিবারের একজনকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই সব চুপচাপ হয়ে গেল কেন?’’
সেই সঙ্গে অধীরের প্রশ্ন, ‘‘গোধরা কাণ্ডের পর নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হলেন, তখন দিদি লাল গোলাপের গুলদস্তা (তোড়া) পাঠিয়েছিলেন কেন? বিজেপি-র সঙ্গে সরকার চালানোর যে সুখ দিদি পেয়েছেন, তাতে দ্বিতীয়বার সরকার গড়তে বিজেপি-কে সাহায্য করবেন না তো? পার্লামেন্টে সিএএ-র বিরোধিতায় ভোট দেয়নি ভাইপোরা। হ্যাঁ কি না বলুন।’’
১৯৯৮ এবং ১৯৯৯ সালের লোকসভা ভোট এবং ২০০৬-এর বিধানসভা ভোটে বিজেপি-তৃণমূলের আসন সমঝোতা এবং অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকারের মমতার মন্ত্রিত্ব গ্রহণের প্রশ্ন তুলে তৃণমূলনেত্রীর উদ্দেশে বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদের মন্তব্য, ‘‘হিম্মত থাকলে আগে বলুন, বিজেপি-কে সাহায্য করে আপনি ভুল করেছেন, এই ভুল আর হবে না।’’ সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘একটা চ্যালেঞ্জ— দিদিভাই একবার আমার সঙ্গে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বিতর্ক হোক আপনার। যদি আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন, আমাদের আর কোনও প্রার্থীর হয়ে ভোট চাইব না। চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ক্ষমতা আছে অগ্নিকন্যা? আমি তৈরি!’’