অধীর চৌধুরী ও আব্দুল মান্নান।
সমস্ত বড় জনসভা বাতিল করেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সোমবার তিনি যে দিন এ কথা ঘোষণা করলেন, সেই দিনই ভোটপ্রচার চালানোয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিদায়ী বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।
সোমবার অধীর বলেন, ‘‘জনসাধারণের স্বার্থে সমস্ত রকম বড় জনসভার কর্মসূচি বাতিল করে দিয়েছি। আগে দেশের মানুষের স্বার্থ। তার পরে ভোটের প্রচার।’’
শুধু অধীরই নয়, রবিবার টুইট করে পশ্চিমবঙ্গে তাঁর সমস্ত জনসভা বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধী। সঙ্গে এআইসিসি থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোভিড সংক্রমণের কারণেই বাংলার ভোটপ্রচারে অংশ নিতে আসবেন কোনও কেন্দ্রীয় নেতা। দিন কয়েক আগে বামফ্রন্টের পক্ষে যাবতীয় বড় সভা সমাবেশ বাতিলের কথা ঘোষণা করেছেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম।
বৃহস্পতিবার সামশেরগঞ্জের সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক ওরফে মন্টু বিশ্বাস মারা যান করোনা সংক্রমিত হয়ে। পর দিন শুক্রবার বিকেলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর। কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন বহরমপুরের সাংসদ। চিঠিতে তিনি সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের ভোট পিছিয়ে রমজান মাসের শেষে করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
অন্য দিকে, কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি সত্ত্বেও প্রচার চালিয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন মান্নান। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন। দেশে করোনা সংক্রমণ দেখে যখন পশ্চিমবঙ্গে সংযুক্ত মোর্চা নিজেদের প্রচারসূচি নিয়ন্ত্রিত করেছে। কিন্তু বিজেপি ও তৃণমূল সংকীর্ণ রাজনীতির ঊর্ধ্বে না উঠে ক্ষমতা পাওয়ার রাজনীতি করছে। এঁদের দ্বারা মানুষের মঙ্গল কখনওই সম্ভব নয়। জনতাই এঁদের বিচার করবেন।’’
যদিও, বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় সোমবার টুইট করে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর আগামী কয়েকটি জনসভা হবে কোভিড বিধি মেনেই।