সাংবাদিক বৈঠকে বিমান বসু এবং অধীর চৌধুরী নিজস্ব চিত্র
জোট নিয়ে বৈঠক হল। কিন্তু সোমবার কংগ্রেস-সিপিএমের সেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক থেকে কোনও রফাসূত্র স্পষ্ট হল না। কোন দল, কোন আসনে বা কত আসনে লড়াই করবে পরিষ্কার হল না তা-ও। তবে মূল সমস্যা যে ‘ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট’ (আইএসএফ), তা ঘুরেফিরে এল আলোচনায়।
সোমবার বিধান ভবনে সিপিএম ও কংগ্রেস নেতারা বৈঠকে বসেন। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলে ওই বৈঠক। বৈঠকে সিপিএমের তরফে ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম। অন্য দিকে, কংগ্রেসের তরফে ছিলেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। ওই বৈঠকে মূলত একটি বিষয় স্পষ্ট করেছেন দু’দলের নেতারা। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যে দল যেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল তাকে সেখানেই লড়তে দেওয়া হবে। সেই সূত্র ধরেই সমাধানের একটা পথ খোঁজার চেষ্টা করছে দু’পক্ষ।
জোটে মূল সমস্যা ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ এবং কংগ্রেসের মধ্যে। আব্বাস মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে লড়তে চাইলে তাতে আপত্তি জানায় কংগ্রেস। কংগ্রেসের ঘোষিত অবস্থান, ওই দুই জেলা থেকে কোনও ভাবেই আইএসএফ-কে একটিও আসন ছাড়া হবে না। কারণ ওই দুই জেলায় কংগ্রেস সব থেকে বেশি শক্তিশালী। অন্য দিকে, নিজেদের সংগঠন ও সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে আব্বাসও নিজের অবস্থানে অনড়। ফলে দু’দলের অনড় মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটে রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চে। আব্বাস কংগ্রেস সম্পর্কে ‘নেতিবাচক’ মন্তব্য করেন। আসনরফার ভবিষ্যৎও প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পড়ে।
সোমবার সিপিএম-কংগ্রেসের বৈঠকে সামান্য একটা রফা সূত্র মিললেও কোনও কিছুই এখনও চূড়ান্ত নয়। মালদহ-মুর্শিদাবাদের যে আসনগুলোয় সিপিএম এগিয়ে ছিল, সেগুলো আব্বাসকে ছাড়া হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। সিপিএমের তরফে তেমন ইঙ্গিতই মিলেছে। যদিও কংগ্রেস এখনই কোনও তালিকা প্রকাশ করতে নারাজ। কংগ্রেসের তরফে অধীর বলেন, ‘‘আমরা ৯২ আসনে লড়ব। সেটা চূড়ান্ত। তবে প্রার্থী তালিকা এখনই প্রকাশ করা হবে না। আসনগুলোর নাম দু’এক দিনের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে। সংযুক্ত মোর্চায় নতুন দল আসার জন্য নতুন করে সব কিছু ভাবতে হচ্ছে। দেরিও হচ্ছে সে জন্য।’’