West Bengal Assembly Election 2021

Bengal polls 2021: আলিপুরদুয়ারে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে

সব জেনেও কেন ওই বিধায়ককে বাধা দেওয়া হয়নি বা কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তা জানতে চাওয়া হল বিধিরক্ষার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের কাছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বীরপাড়া শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২১ ২০:১৫
Share:

মাদারিহাটে এলাকাবাসীর সঙ্গে মনোজ টিগ্গা।

নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠল বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গার বিরুদ্ধে। আর তা নিয়ে সোমবার দিনভর আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রে রাজনৈতিক চাপানউতর চলল। একদিকে বিধিভঙ্গের চিঠি দিয়ে বিধায়কের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার কথা বলল তৃণমূল। অন্যদিকে সব জেনেও কেন ওই বিধায়ককে বাধা দেওয়া হয়নি বা কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তা জানতে চাওয়া হল বিধিরক্ষার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের কাছে। প্রশ্ন উঠল তাঁদের ভূমিকা নিয়ে। এই সব বিতর্কের মধ্যে ওই বিধায়ক অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি কোনওরকম বিধি ভাঙেননি। কারণ এখনও নির্বাচনী আচরণ বিধি কার্যকর হওয়ার কথা সরকারি ভাবে জানানোই হয়নি তাঁকে।

Advertisement

মনোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নির্বাচনী আচরণ বিধি জারি আছে জেনেও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে মুরগি ছানা বিলি করে প্রচার চালাচ্ছিলেন তিনি। বিষয়টি জানানো হয়েছিল নির্বাচনী বিধিরক্ষার দায়িত্বে থাকা (এমসিসি)আধিকারিকদের। তবে তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তারা বলেছে, রবিবার থেকে নির্বাচনী বিধি কার্যকর হয়েছে এলাকায়। তারপর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পতাকা, ফেস্টুন খুলে ফেলার ব্যাপারে তৎপর ছিলেন এই আধিকারিকরা। তাহলে এ ক্ষেত্রে দেরি কেন? এই প্রশ্ন তুলে দলের রাজ্য সম্পাদক তথা আলিপুরদুয়ারের পর্যবেক্ষক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেবেন বলে জানান।

সোমবার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বান্দাপানি চা বাগান এলাকায় ঢুকে গ্রামের মানুষকে মুরগির ছানা বিতরণ করছিলেন মনোজ। তাঁকে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘সেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে পরিবার পিছু ত্রিশটি করে মোট তিন হাজার মুরগির ছানা বিতরণ করা হয়েছে। আমরা শুধু ঘটনাস্থলে ছিলাম। তাছাড়া এখনও পর্যন্ত বিডিও সর্বদলীয় বৈঠক করে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের ব্যাপারে কিছু জানায়নি। এব্যাপারে আমাদের কাছে নির্দেশ এলে তা আমরা মেনে চলবো।’’ মনোজের যুক্তি, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগে কোনো কাজের টেন্ডার থাকলে বা ওয়ার্ক অর্ডার নেওয়া থাকলে ওই কাজ এম সি সি কার্যকর থাকলেও শেষ করা যায়। এক্ষেত্রেও এই পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই ঠিক হয়েছিল। তাই হিসেব মতো তাঁরা বিধিভঙ্গ করেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement