পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের একটি বুথে মহিলাদের লম্বা লাইন। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
শেষ দফাতেও খেল দেখাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। দু’একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা বাদ দিলে, রাজ্য পুলিশের ভূমিকাও এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক। বুথে বুথে মানুষের লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে সকাল থেকে। যা দেখে বিরোধীরাও বলছেন, শেষ দফাতে ফের আর এক বার নিজের ভোট নিজে দিতে পারছেন বাংলার জনতা।
রাজ্যে ষষ্ঠ তথা শেষ দফার নির্বাচনে বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি এবং কোচবিহারের ৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। বুথে বুথে তো বটেই, বুথের বাইরেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারি রয়েছে। মানুষের জটলা দেখলেই তা সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চালানো হচ্ছে তল্লাশিও। লাইন ভেঙে ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে গেলেও বাধা দিচ্ছে তারা।
পাশাপাশি, এ দিন রাজ্য পুলিশকেও মেরুদণ্ড সোজা রেখেই কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। যেমন, পূর্ব মেদিনীপুরে ময়না কেন্দ্রের বাগচায় ভোট প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের তিন কর্মীকে। একই অভিযোগে দক্ষিণ হরবুলি থেকে দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাঁশকুড়াতেও বাম এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠতেই পুলিশ হস্তক্ষেপ করে তাঁদের বুথে বসানোর ব্যবস্থা করে। এমন তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে বেশ জায়গাতেই বাহবা কুড়িয়েছে রাজ্য পুলিশ। তবে ব্যতিক্রম যে একেবারেই নেই, তা নয়। যেমন, পটাশপুরের বেশ কিছু বুথে মহিলাদের ভোট পুরুষরা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠলেও তাতে খুব একটা আমল দেয়নি তারা। কোচবিহারেও বেশ কয়েকটি বুথ থেকে বিরোধী এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অন্য দিকে, নন্দীগ্রামের বেশির ভাগ বুথেই এজেন্ট দিতে পারেনি বিরোধীরা। ২৭১টি বুথের মধ্যে ২০১টিতেই কোনও এজেন্ট বসাতে পারেনি তারা।
আরও পড়ুন:
বহরমপুরে গুলিবিদ্ধ তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক
সকালে থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখছেন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর মতে, ভোট শান্তিপূর্ণই হচ্ছে। বিরোধীরাও অশান্তির তেমন কোনও অভিযোগ তোলেনি। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত শেষ দফার ভোট শান্তিপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
দেখুন গ্যালারি:
আজকের ভোটের তারকা প্রার্থীরা