রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশে ব্রাত্য থাকল সেই ‘টুম্পা সোনা’-ই।
ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল ‘টুম্পা সোনা’ প্যারডি। বাম ছাত্র-যুবদের সেই গান জনপ্রিয় হয়েছিল নেট মাধ্যমে। অথচ রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশে ব্রাত্য থাকল সেই ‘টুম্পা সোনা’-ই।
ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারে কিছুদিন আগে ‘টুম্পা সোনা’-র অনুকরণে একটি প্যারডি গান তৈরি করেছিল বাম ছাত্র-যুবরা। অল্প সময়ের মধ্যে নেট মাধ্যমে সেই গানটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বামেদের মধ্যেও গানটিকে ঘিরে উৎসাহ তৈরি হয়। তবে সরকারি ভাবে ওই গানটি ব্রিগেড প্রচারে ব্যবহার করেনি তারা। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র অবশ্য ওই গানটি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। রবিবার ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিতে আসা কর্মী-সমর্থকদের মুখে অবশ্য শোনা যায় ‘টুম্পা সোনা’ প্যারডি। কিন্তু ব্রিগেডে সেই গান একবারও বাজতে শোনা যায়নি। এর নির্দিষ্ট কোনও কারণ আছে কিনা, জানা যায়নি।
বামেদের ব্রিগেড সমাবেশে বরাবরই বক্তৃতা শুরুর আগে কর্মীদের উৎসাহ দিতে গান করেন দলের ছাত্র-যুব ও শিল্পীরা। রবিবারও সেই রেওয়াজ বজায় থেকেছে। নেতাদের বক্তব্য শুরুর আগে বাদশা মৈত্র, গোপাল অধিকারী-সহ অনেক শিল্পী গান করেন। ওই শিল্পীদের তালিকায় ছিলেন রাহুল পাল, নীলাব্জ নিয়োগী এবং রিয়া দে। ঘটনাচক্রে, রাহুল ও নীলাব্জ ‘টুম্পা সোনা’ প্যারডি করেছিলেন। অথচ রবিবার ব্রিগেডের সভায় তাঁরা ওই গানটি গাননি। অন্য একটি গান করেন। বামেদের একাংশ মনে করছেন, ‘টুম্পা সোনা’ গানটি জনপ্রিয় হলেও বাম সংস্কৃতির সঙ্গে তা মানানসই নয়। সে জন্যই গানটিকে সরকারিভাবে মান্যতা দেওয়া হয়নি। আর সে জন্যই ব্রিগেডের মঞ্চে ওই গানটি গাওয়া হয়নি।